কাপ যুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের মেঘ। বিতর্কিত অঙ্গসজ্জায় জার্মান ফ্যানরা।
মাথায় কালো পরচুলা। তাতেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু মুখ, হাতে কালো রং মেখে সটান মাঠে হাজির সমর্থকরা। জার্মান সমর্থকদের এ হেন আচরণে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ফিফার বর্ণবৈষম্য মুছে ফেলা নিয়ে কড়াকড়ি।
টমাস মুলারদের সমর্থকদের নিয়ে ওঠা বিতর্কের তাই শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে ফিফা। শনিবার ফোর্তালেজা স্টেডিয়ামে ঘানার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। জার্মান সমর্থকদের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায়। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের মধ্যে সমর্থকদের আচরণের দায় বর্তায় সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উপর। তাই এই কাণ্ডের পরও জার্মানি ছাড় পাবে কেন প্রশ্ন ওঠে। তারপরই নড়েচড়ে বসে ফিফা। দ্রুত ফিফা জানিয়ে দেয়, “ঘটনাটি জানানো হয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সে ব্যপারে সিদ্ধান্তে নেবে কমিটিই।”
ওই একই ম্যাচে এক দর্শকের খেলার মাঝেই মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনাও ঘটে। শোনা যাচ্ছে তিনি পোলান্ডের বাসিন্দা। দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচ চলাকালীন ওই দর্শক মাঠে ঢুকে নিজের জামাও খুলে ফেলেন। তার গায়ে লেখা ছিল একটি ফোন নম্বর, একটি ই-মেল, সঙ্গে নাৎসিদের সমর্থনে লেখাও। তখনও কোনও নিরাপত্তারক্ষীকে আশপাশে দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ঘানার ফুটবলার সুলে মুন্তারি তাঁকে মাঠের বাইরে বের করে দেন। এর পর নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ব্যক্তিকে আটক করেন। এই ঘটনাটিও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নজরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিফা।
তবে, এখানেই শেষ নয়, বৈষম্যহীন ফুটবল বিশ্ব গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ফিফার হয়ে কাজ করা সংস্থা ‘ফেয়ার’ও ফিফার কাছে বিশ্বকাপে দর্শকদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। সংস্থাটির দাবি, ব্রাজিল আর মেক্সিকো ছাড়াও নাতাল ও ফোর্তালেজার কয়েকটি ম্যাচে বেশ কয়েকজন দর্শককে ‘পুতো’ শব্দটি ব্যবহার করতে শোনা গিয়েছে। যার অর্থ ‘যৌনকর্মী’। এর মধ্যে আবার ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ম্যাচে মেক্সিকোর সমর্থকদের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy