টিম জার্মানির নৌকাবিহারে সক্রিয় হর্ন।
বিশ্বকাপটা নিয়ে দেশে ফেরার লক্ষ্য নিয়েই ব্রাজিলে পা রেখেছেন মুলার, ক্লোজেরা এবং সেই লক্ষ্য পূরণ করার মতো সঠিক মানসিকতা তাঁদের রয়েছে। ব্রাজিলে জার্মানির ফুটবলারদের সঙ্গে নিজের জীবনের রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পর বিশ্বখ্যাত অ্যাডভেঞ্চারিস্ট মাইক হর্নের ধারণা সে রকমই।
আইপিএল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলে। তাও আবার অন্যতম ফেভারিট জার্মানির শিবিরে। কেকেআর-কে দ্বিতীয় আইপিএল খেতাব পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার পর বিশ্বখ্যাত অ্যাডভেঞ্চারিস্ট মাইক হর্ন এখন ব্রাজিলে মুলারদের সঙ্গে, তাঁদের মানসিক শক্তিকে অটুট রাখার কাজ করে চলেছেন। শুক্রবার মুলাররা মারাকানায় নামার আগে এক ই-মেল সাক্ষাৎকারে সেই হর্ন জানালেন, “জার্মানির এই টিমটা এত পেশাদার যে কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করে না ওরা। যে পরিবেশের মধ্যে রয়েছে, সেই পরিবেশে থাকলে যে কোনও প্লেয়ার ভাল পারফর্ম করবে। টিম ম্যানেজমেন্টে প্রত্যেকের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমন পরিবেশের মধ্যে থাকাটা আমার কাছেও সম্মানের।”
ফুটবলের বিশ্বসেরা খেতাব থেকে আর মাত্র তিন ধাপ দূরে ফিলিপ লামের দল। সবচেয়ে কঠিন এই তিনটি ধাপ পেরনোর ক্ষমতা জার্মানদের রয়েছে বলে মনে করেন হর্ন। বললেন, “জার্মানির পথটা খুব কঠিন। এখান থেকে যে কোনও দল জিততে পারে। তবে এখানে যারা বিপক্ষের চেয়ে একটু বেশি ভাল খেলবে, তারাই জিতবে। জার্মানরা ব্রাজিলে এসেছেই বিশ্বকাপ জিততে। আমার তো মনে হয়, ওরা সেটা করেই ছাড়বে।”
তিন তারকা সোয়াইনস্টাইগার, লাম ও ক্লোজে সম্পর্কে হর্ন বলেন, “ওরা যথেষ্ট স্বাধীন ভাবে খেলে। এটাই ওদের ভাল ফুটবলার হয়ে ওঠার কারণ। আর ভাল ফুটবলাররা যখন সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে, তখনই তারা কিংবদন্তি হয়ে ওঠে। এরা সেই পর্যায়েরই ফুটবলার।” কেকেআর, ভারতীয় ক্রিকেট দলের পর এ বার জার্মানির মতো বিশ্বসেরা ফুটবল দলের সঙ্গে কাজ করছেন। তাই ফুটবল ও ক্রিকেটের মানসিকতার তফাৎটা বুঝতে পারছেন খুব ভাল ভাবেই। বললেন, “ফুটবল অনেক বেশি টিমগেম। দল হিসেবে ভাল পারফর্ম করার জন্য একটা ফুটবল টিমের বাঁধন খুবই জরুরি। ক্রিকেটেও এটা লাগে, তবে ফুটবলের মতো অতটা নয়।”
আর মুলারদের পেয়ে যে কেকেআরের ছেলেদের ভুলে যাননি তা জানিয়ে হর্ন বললেন, “ওরা সবাই আমার বন্ধু। তাই সবার সঙ্গে কথা হয়ই। কারও সঙ্গে রোজ, কারও সঙ্গে মাসে এক বার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy