বাংলা ক্রিকেটারদের জল চাই? দরকারে গাঁটের কড়ি খরচ করে নিজেদের কিনে আনতে হবে। সংগঠকদের পক্ষ থেকে দেওয়া যাবে না! বাংলা ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিস শেষে টুকটাক ‘রিফ্রেশমেন্টের’ বন্দোবস্ত? প্রশ্নই নেই। জলই দেওয়া হচ্ছে না যখন, খাবার-দাবারের ব্যাপারই আসে না!
মাঠে যাতায়াতের খরচ? ওটাও নিজেদের। যার-যার, তার-তার। সাধারণ পাড়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়। এটা জেপি আত্রে ট্রফি। যেখানে বাংলা খেলতে গিয়েছে। এবং খেলতে গিয়ে চূড়ান্ত দুর্দশার মুখেও পড়তে হচ্ছে।
সোমবার হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। এ দিন চণ্ডীগড়ের সেক্টর-১৬-র মাঠে বাংলার প্র্যাকটিস ছিল। সকাল-সকাল টিম বাংলা সেখানে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, মাঠ খাঁ-খাঁ করছে। লোকজনের কোনও চিহ্ন নেই। বাংলার প্র্যাকটিস নিয়ে নাকি কারও কাছে কোনও খবরই ছিল না।
এবং প্র্যাকটিস যত এগোল, দুর্ভোগ তত আরও বাড়ল ক্রিকেটারদের। প্রথমে স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্রিকেটাররা দেখেন, প্র্যাকটিস পিচ ভেজা। পিচ পরে পাল্টে দিলেও জল নিয়ে এর পর সমস্যা দেখা দেয়। প্র্যাকটিসের পর ক্রিকেটাররা জল চাইলে তাঁদের বলে দেওয়া হয়, পাওয়া যাবে না। কিনে আনতে হবে। খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও নিজেদের করতে হবে! ওই অবস্থাতেই মাঠ থেকে জল কিনতে যান টিমের ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্ত। পরে টিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হল, যাতায়াতের খরচ সিএবিকেই দিতে হচ্ছে। প্র্যাকটিসে সামান্য জল, খাবার সেটাও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে অবশ্য কেউ কর্ণপাত করেছেন বলে খবর নেই। বলা হয়েছে, ম্যাচের দিন ছাড়া ও ভাবে ক্রিকেটারদের প্র্যাকটিসে জল বা খাবারদাবার দেওয়ার নাকি তেমন চল নেই। কোনও টিমের জন্যই নাকি তেমন বন্দোবস্ত থাকে না সাধারণত।
তাই আগেভাগেই এ বার জল কিনে টিম হোটেলে মজুত রাখছে বাংলা। রবিবারের প্র্যাকটিসের জন্য। এক নয়, দুই নয়, একেবারে পাঁচ ক্রেট!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy