Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টেকনিক বদলেই সাফল্য, বলছেন উথাপ্পা

এক হারে কিছুই হারিয়ে যায়নি। ‘এনজয় দ্য ডেজার্ট সাফারি’নাইটদের শিবিরে কান পাতলে এখন এই রিংটোনই শোনা যাবে হয়তো। শনিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে হারের পরও নাইট শিবির রীতিমতো ‘বিনদাস’ মুডে। দলের অনেকে যখন সম্পুর্ণ বিশ্রামে, তখন কয়েকজন চলে গেলেন গল্ফ কোর্সে। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটের বাইরে তাঁদের সেরা অবসর বিনোদন যে এই গল্ফ-ই।

স্ত্রী শীতল ও সতীর্থ কালিসের সঙ্গে ইস্টার-লাঞ্চে উথাপ্পা। ছবি টুইটার

স্ত্রী শীতল ও সতীর্থ কালিসের সঙ্গে ইস্টার-লাঞ্চে উথাপ্পা। ছবি টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৪
Share: Save:

এক হারে কিছুই হারিয়ে যায়নি। ‘এনজয় দ্য ডেজার্ট সাফারি’নাইটদের শিবিরে কান পাতলে এখন এই রিংটোনই শোনা যাবে হয়তো। শনিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কাছে হারের পরও নাইট শিবির রীতিমতো ‘বিনদাস’ মুডে। দলের অনেকে যখন সম্পুর্ণ বিশ্রামে, তখন কয়েকজন চলে গেলেন গল্ফ কোর্সে। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটের বাইরে তাঁদের সেরা অবসর বিনোদন যে এই গল্ফ-ই।

দুবাই স্পোর্টস সিটির আর্নি এলস্ গল্ফ ক্লাবের কোর্স যে বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে বেশ লোভনীয় হয়ে উঠেছে, তা কয়েক দিন আগে কালিসের কথাতেই বোঝা গিয়েছিল। রবিবার গল্ফ শেষ করে রায়ান টেন দুশখাতেও টুইটারে মন্তব্য করলেন, “গল্ফ খেলে সকালটা দারুণ কাটল। এই মরুশহরে বেশ সাজানো গোছানো একটা কোর্স। যদিও কোনও পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল না।” রবিবার সেখানে একাধিক আইপিএল দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখে অবাক ক্লাবের কর্তারাই। ক্লাবের ওয়েবসাইটে লেখা হল, “দুবাই নয়, রবিবার সকালে মনে হচ্ছিল ইউরোপের কোনও কোর্সে গল্ফের আসর বসেছে।” এ দিন সকালে নাইটদের সবার প্রিয় ‘টেন্ডো’ সিইও বেঙ্কি মাইসোরকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেখেন, সানরাইজার্সের অ্যারন ফিঞ্চ, আরসিবি-র অ্যালবি মর্কেল, এবি ডেভিলিয়ার্সরাও সেখানে হাজির। ওয়াসিম আক্রমও ভেঙ্কির সঙ্গে মেতে উঠলেন এই গল্ফ উৎসবে। টুইটারে জানালেনও সে কথা।

দলের বিদেশি ব্রিগেড যখন গল্ফে ব্যস্ত, তখন যে দেশীয় তারকারা শনিবার ম্যাচে খেলেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বিশ্রাম নিয়ে ও ঘুরেফিরে, শপিং করে কাটালেন। আগের দিনই যে হেরে মাঠ ছেড়ে বেরিয়েছেন, তা কে বলবে? আগের রাতেই ম্যাচের পর গম্ভীর বলেছিলেন, “১৬৫ তুলেও না জিততে পারাটা ঠিক নয়। তবে দুমিনি ও রকম ব্যাটিং করলে আর কী করা যাবে? আমাদের ব্যাটিং, বোলিং খারাপ হয়নি। হার-জিত তো আছেই। এখনও অনেক ম্যাচ পড়ে আছে।” রবিবার দলের আর এক তারকা রবিন উথাপ্পার গলাতেও একই সুর। আইপিএলের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, “সারা ম্যাচেই আমরা ভাল খেলেছি। ওই ১৮ নম্বর ওভারটাতেই দুমিনি একা হাতেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিল। দলের মধ্যে ‘পজিটিভ এনার্জি’ থেকে শুরু করে মণীশ, সাকিবের ব্যাটিং, শুরুর দিকে বিনয়ের বোলিং কোনওটাই খারাপ হয়নি।” উথাপ্পা ও মণীশ পান্ডের ব্যাটিংয়েই শনিবার কেকেআর ১৬৬-তে পৌঁছয়।

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে উথাপ্পার বক্তব্য, “ঘরোয়া মরসুমে যে ফর্মে ছিলাম, সেই ফর্ম ধরে রাখাটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। দলের পারফরম্যান্সে অবদান রাখতে পারছি, এটাই বড় কথা।” অনেকেরই প্রশ্ন শনিবার কেকেআরের ব্যাটিংয়ে তেমন গতি ছিল না। উথাপ্পাও প্রথম বাউন্ডারি মারেন ১২ নম্বর ওভারে। এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “সাড়ে তিনেরও কম ওভারে আমাদের দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটা বড় পার্টনারশিপের ভিত গড়ার কাজ নিয়ে ব্যাট করতে নামি আমরা। মণীশ এক দিকে পেটাচ্ছিল বলে আমি অন্য দিকটা ধরে রাখছিলাম। সে জন্যই আপনাদের হয়তো মনে হয়েছে, কিছুটা স্লো খেলেছি আমরা। আমাদের বোঝাপড়াটা আসলে বেশ ভাল। একসঙ্গে ব্যাট করতে নামলে সেটাই কাজে লাগে।”

নিজের ব্যাটিংয়ের স্টাইলেও যে বদল এনেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েই উথাপ্পা বলেন, “টেকনিকে অনেকটাই বদল এনেছি। ফলে এখন অনেক নিখুঁত ক্রিকেট খেলছি। রানও পাচ্ছি। এটা তো ভাল। তা ছাড়া এখানকার উইকেট স্লো বলে ব্যাটিংয়ে গতিও তেমন আনা যাচ্ছে না। উইকেট তেমন পেলে নিশ্চয়ই ব্যাটে ঝড় বইবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kkr uthappa ipltag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE