ব্রাজিলে পৌঁছে। ছবি: এএফপি।
বালোতেলি ফিরলেন বালোতেলিতেই!
গত সাত ম্যাচে জয়হীন থেকে ব্রাজিল যাচ্ছে ইতালি। কিন্তু তাতে চিন্তিত নন বালোতেলি। বরং আতঙ্ক বন্ধ করতে পুরো বিমানযাত্রায় চলল সুপার মারিওর ‘কমেডি সার্কাস’।
শুক্রবার রিওতে নিজেদের বেস ক্যাম্পে পৌঁছ ল ইতালি। কিন্তু পুরো সফরে ‘এয়ার স্টুয়ার্ডের’ ভূমিকায় দেখা গেল বিশ্বফুটবলের ‘ব্যাড বয়’ বালোতেলিকে। প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বকাপের অন্যতম বৈচিত্রময় চরিত্র। বিমান টেক-অফ হওয়ার পরেই খাবারের খোঁজ করতে থাকেন ইতালির তারকা স্ট্রাইকার। তার ফাঁকে এক সতীর্থের সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিঘ্ন ঘটান। তার পরে সোজা চলে যান বিমানের মাইক্রোফোনের সামনে। প্রতিটা ইতালীয় ফুটবলারদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন যে, সবাই সিটে বসে থাকো তবেই নৈশভোজের জন্য খাবার পাবে। সমস্যার কারণে ইতালি দলের ন’জন ফুটবলারকে ‘ইকোনমি ক্লাসে’ বসতে হয়। কিন্তু তাঁদের দুঃখ ভোলাতে প্রতি মিনিটেই দেখা করতে যান বালোতেলি। এমনকী ছবিও তোলেন তাঁদের সঙ্গে। তার উপরে নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্টে রিও-র বিখ্যাত রিডিমার মূর্তির জায়গায় নিজের ফটো পোস্ট করে দেন। বোঝাতে, তিনিই ইতালির ত্রাতা।
রিওর রিডিমার মূর্তির জায়গায় নিজেকে বসিয়ে
ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করলেন বালোতেলি।
পুরো বিমান-সফরে খোশ মেজাজে কাটালেও, রিওতে ল্যান্ড করেই আবার আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে যে, মারণ গ্রুপ থেকে শেষ পর্যন্ত ইতালি বেঁচে বেরোতে পারবে কি না। প্রশ্ন উঠছে, যারা লুক্সেমবার্গকে হারাতে পারল না, তারা কী করে ইংল্যান্ড, উরুগুয়ের মতো দলের বিরুদ্ধে জিতবে? ঘটনা হল, প্রস্তুতি ম্যাচে কোচের নির্দেশ ছিল, জয়ের জন্য সম্পূর্ণ না ঝাঁপাতে। রিও নেমে সিজার প্রান্দেলি বলেন, “আমি সবাইকে পাঁ বাচিয়ে খেলতে বলেছিলাম। প্রস্তুতি ম্যাচের ফল দিয়ে কিছু হয় না। লাক্সেমবর্গের বিরুদ্ধে আমরা খুব বেশি আক্রমণাত্মক খেলিনি, বেশি ট্যাকল করিনি।” সঙ্গে প্রান্দেলি আরও বলেন, “আমার দলের ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট আছি। জানি যে মন্টোলিভোর মতো ফুটবলার চোট পাওয়ায় দল একটু হলেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু বাকি সবাই ভাল ছন্দে আছে। তবে গ্রুপ পর্ব টপকাতে হলে আরও উন্নতি করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy