টোলগে ওজবের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে মহমেডান। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে ময়দান থানায় গাড়ি চুরি ও প্রতারণার অভিযোগ জানাল সাদা-কালো শিবির।
মহমেডান কর্তারা পুলিশের কাছে যে ডায়েরি নথিভুক্ত করেছেন তাতে লেখা হয়েছে, টোলগে চলে গেলেও তাঁকে যে গাড়ি ক্লাব থেকে দেওয়া হয়েছিল, তা তিনি ফেরত দেননি। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনের যে ফ্ল্যাটে টোলগে ভাড়া থাকতেন, তার অগ্রিম বাবদ দু’মাসের যে টাকা ক্লাব দিয়েছিল তাও ফেরত দেননি তিনি। মহমেডান সহ-সচিব রাজু আহমেদ বললেন, “টোলগে আমাদের কাছে পেত চার লাখ টাকা। ওর কাছে আমরা বাড়িভাড়ার অগ্রিম বাবদই পাই সাড়ে চার লাখ। সে জন্যই আমরা ওকে দেওয়া চেকটি ব্যাঙ্কে আটকে দিই। ওর সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওকে আমাদের বিরুদ্ধে ডেম্পো ম্যাচে খেলতে দিল ফেডারেশন?”
টোলগের বিরুদ্ধে মহমেডানের আদালতে যাওয়ার পিছনে আসলে কাজ করছে অন্য অঙ্ক। তাদের মূল লড়াই ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ডেম্পোকে লিয়েন দেওয়ার সময় টোলগের সঙ্গে সাদা-কালোর চুক্তি হয়েছিল যে, মহমেডানের বিরুদ্ধে তিনি কোথাও কোনও ম্যাচে খেলতে পারবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফেডারেশন টোলগেকে আই লিগে ম্যাচ খেলার অনুমতি দেয়। ফেডারেশনের বক্তব্য, টোলগেকে প্রতিশ্রুতিমতো মহমেডান চার লাখ টাকা দেয়নি। এবং সব থেকে বড় ব্যাপার ডেম্পো ওই ম্যাচে টোলগের গোলেই হারায় মহমেডানকে। সাদা-কালো কর্তারা তাই এটা প্রমাণ করতে মরিয়া যে, টোলগে নয়, টাকা পান তাঁরাই। এবং আদালতে সেটা প্রমাণ করতে পারলেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়বেন তাঁরা। কারণ, এই মুহূর্তে অবনমনের আওতায় আছে মহমেডান। ডেম্পো ম্যাচের তিন পয়েন্ট পেলে সঞ্জয় সেনের দল বেঁচে যাবে। ঝামেলা এড়াতে ফেডারেশন যদি তিন পয়েন্ট না-ও দেয়, সে ক্ষেত্রে মহমেডানকে আই লিগে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারে। অন্তত ঘরোয়া আলোচনায় এ রকমই ভেবেছেন মহমেডান কর্তারা। সে জন্যই টোলগের বিরুদ্ধে আদালতে ও পুলিশে গেছে সাদা-কালো কর্তারা।
টোলগের বিরুদ্ধে পুলিশে যাওয়ার দিনই শৃঙ্খলা ভাঙার জন্য জোসিমারকে শো-কজ করা হল। এ দিকে শনিবার মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না জেমস মোগা। তবে পুণে ম্যাচে ফিরতে পারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy