কর্তাদের কড়া চিঠি হাতে পেয়েও নির্বিকার ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসো। উল্টে বাহাত্তর ঘণ্টা আগেই ডার্বির ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিলেন তিনি। শুক্রবার প্র্যাকটিসের পরে লাল-হলুদের গোয়ান কোচ বললেন, “ডার্বিতে আমরাই আন্ডারডগ। মোহনবাগান এ বার খুব ভাল টিম। তবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ সব সময়ই একটা অন্য রকম খেলা।”
ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও কোচ নিয়ে এই মুহূর্তে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে আপাতত ফোকাস করছেন মঙ্গলবারের বড় ম্যাচেই। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলছেন, “এই মুহূর্তে বড় ম্যাচ ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করিনি। কোচ নিয়ে ভাবা যাবে ডার্বি ম্যাচের পর।” তবে ফুটবল সচিব অন্য কোনও কোচিং ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করতে না চাইলেও, সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা মর্গ্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু লাল-হলুদের প্রাক্তন ব্রিটিশ কোচ জানিয়ে দিয়েছেন পারিবারিক কারণে মার্চের আগে দায়িত্ব নিতে পারবেন না। যদিও কর্তাদের একাংশের আশা, অনুরোধ করলে এঅই সময়সীমা কমে আসতে পারে। তবে মর্গ্যানের আর্থিক বিষয়টি ভাবাচ্ছে কর্তাদের। শুক্রবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে বড় ম্যাচের ফলাফল দেখার পর আর্মান্দোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন লাল-হলুদ কর্তারা। কারণ, আর্মান্দোর শারীরিক অবস্থা চিন্তায় রাখছে লাল-হলুদ কর্তাদের। যদিও আর্মান্দো নিজে থেকে দায়িত্ব ছাড়ার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনাও করেননি কর্তাদের সঙ্গে। যদি আর্মান্দো বড় ম্যাচের পর দায়িত্বে থাকতে না চান, তা হলে এলকো সাতোরির সঙ্গেও ইতিবাচক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লাব কর্তাদের আর একটি অংশ।
তবে এ দিনের প্র্যাকটিসে আর্মান্দোকে দেখে কোনও ভাবেই মনে হয়নি যে, তিনি চাপে আছেন। এমনকী কথাবার্তাতেও তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী। “ডাবির আগে শুধু ভারত এফসি-তে মনোযোগ দিতে চাই। মঙ্গলবার বড় ম্যাচের আগে রবিবারের ম্যাচটা যে করেই হোক জিততে হবে।” ডার্বির প্রস্তুতি হিসেবে নবির টিমকে বেছে নিলেও, ডুডুকে রবিবারের ম্যাচে সম্ভবত পাচ্ছেন না তিনি। সুসাকও পুরোপুরি সুস্থ নন। এ দিন প্র্যাকটিসে আসলেও, তাঁকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় কোচ। বলছিলেন, “ডুডু আর সুসাকের রক্ত পরীক্ষা হবে শনিবার। ওদের খেলাতে পারব কি না তার পরেই জানতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy