ক্রিস গেইলের কি চোট? এবি ডে’ভিলিয়ার্সকে কি নেতৃত্বে নেলসন ম্যান্ডেলার মতো দৃপ্ত, সাহসী হতে দেখা যাবে? আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে হয়তো এই দু’টো মহাপ্রশ্নই এসসিজি-তে দিনভর ঘুরপাক খাবে!
বিশ্বকাপের আর এক জমজমাট লড়াইয়ের আগের দিন ক্যারিবিয়ান প্র্যাকটিসে গেইলকে না দেখে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার অবশ্য জানান, পিঠের চোট ভোগাচ্ছে ৩৫ বছরের গেইলকে। তবে নাকি চিন্তার কিছু নেই। “ক্রিসের পিঠের পুরনো চোট এখনও ভোগাচ্ছে। তবে ওকে যতটা সম্ভব সুস্থ করে ম্যাচে নামানোর চেষ্টা চলছে।”
স্বয়ং গেইল বলেছেন, “জানুয়ারি থেকে পিঠের চোট ভোগাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে পুরোপুরি সারেনিও। তবে ব্যাপারটা অনেকটা মানসিক। প্রচুর ম্যাসাজ নিচ্ছি। জিমে যেতে ভালবাসি। সেটাও বন্ধ ক’য়েক মাস।”
ম্যাচের আগে গেইলের প্র্যাকটিসে না থাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিপক্ষ দলের অধিনায়কও। এবি ডে’ভিলিয়ার্স বলেছেন, “গেইলকে তো খুব বেশি প্র্যাকটিসে দেখা যায় না। আমি বেঙ্গালুরুতে (আইপিএল) ওর সঙ্গে খেলেছি। খুব একটা নেটে ওকে কিন্তু দেখবেন না। আসলে বয়সের তুলনায় ওর শরীরটা আরও বুড়ো হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ ফিটনেস রাখতে ওর নিজের শরীরের দিকে আরও নজর দিতে হবে।”
ডে’ভিলিয়ার্সদের শিবিরে আবার অন্য সমসা। তাঁদের ১৫ ক্রিকেটারের দলে ১৮ জন সাপোর্ট স্টাফ। তাতেও বিশ্বকাপ অভিযানের গোড়ার দিকেই ধাক্কা। ভারতের কাছে বিরাট হার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অবস্থার জন্য এক দিকে ‘অতিরিক্ত’ সাপোর্ট স্টাফ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’ বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। ছন্দে ফিরতে ডে’ভিলিয়ার্সদের হাল্কা মেজাজে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক প্রাক্তন। স্টিভ রিক্সন বলেছেন, “মনে হচ্ছে অনেকেই স্পেশ্যালিস্ট। কেউ হয়তো ডেথ বোলিংয়ের দিকটাই শুধু দেখছে। এতে আসল কাজটাই হচ্ছে না।” হার্সেল গিবস টুইট করেছেন, “আমাদের জাতীয় দলে এত জন সাপোর্ট স্টাফের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ব্যাপারটা সহজ-সরল রাখলেই তো ভাল।” এর মধ্যে আবার চোটের সমস্যাও রয়েছে প্রোটিয়া শিবিরে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আগেই দশ দিনের জন্য ছিটকে গিয়েছেন পেসার ভার্নন ফিলান্ডার। পেশির টানে এই ম্যাচে অনিশ্চিত অলরাউন্ডার জেপি দুমিনিও। শুক্রবার সকালে ফিটনেস টেস্টের পরই তিনি ম্যাচে নামতে পারবেন কি না ঠিক হবে।
আজই আইসিসি-র হল অব ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া মার্টিন ক্রো আবার ডে’ভিলিয়ার্সকে আরও ‘সাহসী’ ক্যাপ্টেন্সি করার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, “যে কোনও সর্বোচ্চ সাফল্যের পিছনে দৃপ্ত, সাহসী নেতৃত্বের দরকার। যে সাহসটা নেতার রক্তের ভিতরেই থাকে। আর তুমি তো জানই, ম্যান্ডেলার মতো সর্বকালের সেরা এক সাহসী নেতা তোমাদের ছিলেন। সেই সাহসী নেতৃত্বের অনুভূতিটাই আনো তোমার ক্যাপ্টেন্সিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy