Advertisement
E-Paper

পারথ সেঞ্চুরিটা কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল, বলছেন তেন্ডুলকর

জীবনের সেরা টেস্ট সেঞ্চুরি কোনটা, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়া উচিত তাঁরই। একান্নটা টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে একটা বাছা তো সহজ নয়। তবে সচিন তেন্ডুলকরের কাছে এই উত্তরটা কঠিন নয়। তাঁর কেরিয়ারের সেরা টেস্ট সেঞ্চুরি বাছতে হলে তাঁর পছন্দ ১৯৯২-এ পারথের ১১৪।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৮
’৯২-এ পারথের সেই মুহূর্ত।

’৯২-এ পারথের সেই মুহূর্ত।

জীবনের সেরা টেস্ট সেঞ্চুরি কোনটা, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়া উচিত তাঁরই। একান্নটা টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে একটা বাছা তো সহজ নয়। তবে সচিন তেন্ডুলকরের কাছে এই উত্তরটা কঠিন নয়। তাঁর কেরিয়ারের সেরা টেস্ট সেঞ্চুরি বাছতে হলে তাঁর পছন্দ ১৯৯২-এ পারথের ১১৪।

“ওই একটা ইনিংস যেটা আমার কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল। সেই সময় পারথই ছিল বিশ্বের দ্রুততম উইকেট। তার উপর হিংস্র অস্ট্রেলীয় পেসারদের সামলানো বেশ কঠিন ছিল। ওই অবস্থায় সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলাম, তা-ও মাত্র উনিশ বছর বয়সে,” এ দিন স্কুল ছাত্রদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন সচিন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “তার দু’ম্যাচ আগে সিডনিতে সেঞ্চুরি করেছিলাম। কিন্তু ওই দুটো সারফেস একদম আলাদা। আমি জানতাম পারথ এমন একটা উইকেট যেটা বিশ্বের অন্য কোথাও পাব না। আর আমি যদি পার্থে ব্যাট করে রান করতে পারি, তা হলে বুঝব বিশ্বের অন্য যে কোনও ফাস্ট আর বাউন্সি পিচে রান করার ক্ষমতা আমার আছে।” পারথের ওই ইনিংসটার বিশেষত্ব নিয়ে সচিনের মন্তব্য, “তখন আমার কেরিয়ার সবে শুরু হচ্ছে। তার আগে বছরদুয়েক ভাল খেলছিলাম, কিন্তু পারথের পরে মনে একটা বিশ্বাস চলে এসেছিল যে, বিশ্বের যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে এ বার আমি তৈরি। আমার কেরিয়ারটাও ওই ইনিংসের পর বদলে গিয়েছিল। আত্মতুষ্টি নয়, একটা আত্মবিশ্বাস চলে এসেছিল।”

মুম্বইয়ে বাচ্চাদের এক অনুষ্ঠানে সচিন তেন্ডুলকর। বুধবার। ছবি: পিটিআই

খুদেদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে সচিনের ছোটবেলার নানা প্রসঙ্গও। যেখানে সচিন বলে দেন, তাঁর বাবা ক্রিকেট নিয়ে খুব উৎসাহী না হলেও ছেলেকে বরাবর উৎসাহ দিয়ে গিয়েছিলেন। “আমার বাবা ঠিক করে দেননি যে আমি ক্রিকেট খেলব। আমার দাদার সাহায্যে উনি জানতে পেরেছিলেন আমি ক্রিকেট খেলতে চাই। দাদাই বলে আমাকে ক্রিকেট ক্যাম্পে ভর্তি করতে। যার একটা বড় কারণ ছিল আমার দুষ্টুমি! এ ভাবেই আমার কেরিয়ার শুরু হয়,” বলেছেন সচিন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমি চাই আমার ছেলেমেয়েও স্বাধীন ভাবে বড় হোক। অর্জুন ক্রিকেট ভালবাসে। আগে ফুটবল ভালবাসত, তার পর দাবা। এখন ক্রিকেট নিয়ে পড়েছে। ও জীবনে যা-ই হতে চাক, ওকে বলেছি সৎ থাকতে। সারা আবার মায়ের মতো ডাক্তার হতে চায়।”

sachin century at parth career changing century
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy