সিনসিনাটি ওপেন ট্রফি হাতে। ছবি টুইটার
তেত্রিশের ফেডেরার সিনসিনাটি মাস্টার্স (২০১২-র পর তাঁর প্রথম মাস্টার্স) জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আঠাশের নাদাল তাঁর ফেসবুক-এ লিখে জানিয়ে দিলেন, এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে তিনি চোটের জন্য খেলবেন না। গত তিন বছরের মধ্যে ফিটনেসের অভাবে নাদালের এটা তৃতীয় বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে সরে দাঁড়ানো! যার পর টেনিসমহলে প্রশ্ন উঠছে, ফেডেরারের সর্বাধিক ১৭ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার রেকর্ড নাদালের আর ভবিষ্যতে আদৌ ভাঙার সম্ভাবনা আছে কি না! যার জন্য এখনও চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হওয়া দরকার তাঁর। সবচেয়ে বড় কথা, গত রাতেই রেকর্ড সংখ্যক টানা তেরো বার এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস্-এ (যেটা মরসুমের সেরা আট প্লেয়ার নিয়ে বছরের শেষে হয়) খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এ বারের উইম্বলডন রানার্স ফেডেরার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও অন্যতম ফেভারিট হয়ে উঠেছেন। সম্ভবত নিউইয়র্কেই তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যা বাড়তে পারে।
নাদালের গত কয়েক বছরের হাঁটুর সমস্যার সঙ্গে সম্প্রতি নতুন যোগ হয়েছে ডান হাতের কব্জির চোট। ১ জুলাই উইম্বলডন চতুর্থ রাউন্ডে হারের পর তিনি একটিও ম্যাচ খেলেননি। ২৯ জুলাই মায়োরকায় প্র্যাক্টিসে ফের ডান হাতে চোট পান। যদিও নাদাল বাঁ-হাতি প্লেয়ার, কিন্তু ডাবল-হ্যান্ডেড ব্যাকহ্যান্ড মারেন বলে ডান হাতের কব্জির চোটে তাঁর ব্যাকহ্যান্ড শটে বিরাট প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। হতাশ নাদাল ফেসবুকে লিখেছেন, “এই মুহূর্তে ব্যাকহ্যান্ড শটে বেশি কিছু করতে পারছি না। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে ফিট হয়ে ওঠার জন্যই রজার্স কাপ আর সিনসিনাটি থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। কিন্তু লাভ হল না!” এই নিয়ে নাদাল গ্র্যান্ড স্ল্যামে দ্বিতীয় বার আগের বারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম তুলে নিলেন। ২০০৮ উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ২০০৯-এ খেলেননি হাঁটুর চোটে। ২০১৩-র যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন এ বার ২০১৪-এ নেই ফ্লাশিং মেডোয়। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ইউএস ওপেনের ওয়েবসাইটেও নাদালের না খেলার সংবাদ ঘোষিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy