দেশঁ-র তাস বেঞ্জিমা।
কোচ-ক্যাপ্টেন দু’জনেই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির, এটা সাধারণত টুর্নামেন্ট শুরুর আগে হয়। বা ফাইনালের আগের দিন হতে পারে। দিদিয়ের দেশঁ আর হুগো লরিস দু’জনেই মারাকানায় হাজির হয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কোয়ার্টার ফাইনালটা একটা বিশেষ ফাইনালই!
প্রশ্ন: কী মনে হচ্ছে, এত দিন যা খেটেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি খাটুনির ম্যাচ তো কাল হবে?
লরিস: আর পাঁচটা ম্যাচ হিসেবেই দেখছি। এটুকু বলতে পারি জার্মানদের জন্য আমরা তৈরি।
প্র: কী মনে হয়? ম্যাচে কী হতে যাচ্ছে?
লরিস: আমাদের মনে হয় প্রচণ্ড লড়াই হবে।
তবে বললাম তো, আমরা তৈরি। সর্বস্ব দিয়ে দেব। আপনারা যে কোনও কিছু ম্যাচ থেকে আশা করতে পারেন!
প্র: ঐতিহাসিক একটা বৈরিতা রয়েছে আপনাদের দু’দেশের মধ্যে। তা ছাড়া বিশ্বকাপে তিক্ততার ইতিহাস আছে বিরাশি সালে যার বদলা ফ্রান্স নিতে পারেনি। ইতিহাস কি এ বার আপনাদের ওপর বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে না?
লরিস: পুরনো ইতিহাস নিয়ে খামোখা ঘাঁটব কেন? আমাদের টিম তৈরি করবে ইতিহাসের নতুন পাতা!
প্র: জার্মানির কাছে হারের তাৎপর্য কী হতে পারে?
লরিস: বিশাল ক্যাশ গচ্চা যাওয়ার মতো হবে ব্যাপারটা। ভাবতেই চাইছি না।
অধিনায়ক লোরিসকে নিয়ে কোচের (বাঁ দিকে) সাংবাদিক সম্মেলন। ছবি: গৌতম ভট্টাচার্য।
প্র: কোচ আপনাকে জিজ্ঞেস করছি জার্মানি যে ভাবে পর্তুগালকে হারিয়েছে সেটা ভেবে বুক কাঁপছে না আপনার?
দিদিয়ের: ভয় পেতে যাব কেন? একটুও না। ওই ম্যাচটায় একটু সময় পর পর্তুগাল দশ জনে খেলেছে। ঘানা ম্যাচে মোটেও ভাল খেলেনি জার্মানি। ওদের আলজিরিয়ার সঙ্গে খেলাটাও আমি দেখেছি।
প্র: এত সব পুরনো জ্বালার বদলা নেওয়ার ব্যাপার রয়েছে ফ্রান্সের। ছেলেদের ম্যাচের আগে কী বলবেন?
দিদিয়ের: বলব পুরনো নিয়ে ভেবো না। নতুন দিন। নতুন ভাবনা নিয়ে জেতো।
প্র: আপনার টিমকে টুর্নামেন্টের শুরুতে কেউ পাত্তাই দেয়নি। হঠাৎ করে ফ্রান্সের এই মোড় ঘুরে যাওয়ার রহস্যটা কী?
দিদিয়ের: রহস্যটা ওই ১৯ নভেম্বরের।
প্র: ১৯ নভেম্বর কী ঘটেছিল যে তার এত তাৎপর্য?
দিদিয়ের: সে দিনই আমরা মূলপর্বে ঢুকে পড়ি আর তার পর থেকেই জাতীয় দলে সবাই এক মন্ত্র, এক দর্শন, এক প্রার্থনা নিয়ে থেকেছে, ফ্রান্সকে জেতাতে হবে। রহস্য এটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy