Advertisement
E-Paper

বিনির ৬-৪ সিরিজ জেতাল ভারতকে

৬-৪। না, বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচের স্কোর নয়। মিরপুরের শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের মিডিয়াম পেসার স্টুয়ার্ট বিনির বোলিং বিশ্লেষণ। চার রান দিয়ে ছ’উইকেট। মঙ্গলবার এই বিধ্বংসী বোলিং করে অনিল কুম্বলেকে টপকে উঠে এলেন শীর্ষে। ঢুকে পড়লেন বিশ্বের সেরা দশে। যাঁর বাবা রজার বিনিকে ভারতীয় ক্রিকেটের নামী বোলারদের তালিকায় রাখা হলেও তিনি কখনও ওয়ান ডে-তে ইনিংসে ছ’উইকেট পাননি, সেই স্টুয়ার্ট সেটাই করে দেখালেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৪ ০৪:০৫
আগুনে স্পেল। ঢাকায় দেশকে জিতিয়ে স্টুয়ার্ট বিনি। ছবি: এএফপি

আগুনে স্পেল। ঢাকায় দেশকে জিতিয়ে স্টুয়ার্ট বিনি। ছবি: এএফপি

৬-৪। না, বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচের স্কোর নয়। মিরপুরের শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের মিডিয়াম পেসার স্টুয়ার্ট বিনির বোলিং বিশ্লেষণ।

চার রান দিয়ে ছ’উইকেট। মঙ্গলবার এই বিধ্বংসী বোলিং করে অনিল কুম্বলেকে টপকে উঠে এলেন শীর্ষে। ঢুকে পড়লেন বিশ্বের সেরা দশে। যাঁর বাবা রজার বিনিকে ভারতীয় ক্রিকেটের নামী বোলারদের তালিকায় রাখা হলেও তিনি কখনও ওয়ান ডে-তে ইনিংসে ছ’উইকেট পাননি, সেই স্টুয়ার্ট সেটাই করে দেখালেন।

তাঁর বিধ্বংসী ৪.৪-২-৪-৬ বোলিংয়ের দাপটে বাংলাদেশ ৫৮-এ শেষ। এর আগে ভারতও ১০৫ রানে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম পা রাখা তাস্কিন আহমেদের (৫-২৮) বোলিং দাপটে। তার পর বাংলাদেশের এই হাল। ভারত ৪৭ রানে ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজও জিতল।

শের এ বাংলার উইকেট এবং বৃষ্টিতে স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াকে এমন ফলের জন্য দায়ী করলেও এ দিন যে বলে আগুন ঝরান স্টুয়ার্ট ও মোহিত শর্মা (৪-২২), এই নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ম্যাচের শেষে এমন অবিশ্বাস্য স্পেল নিয়ে ক্যাপ্টেন সুরেশ রায়না যখন বলছিলেন, “আমি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে এমন বোলিং কাউকে কখনও করতে দেখিনি”, তখন তাঁর অভিব্যক্তিতে বিস্ময় স্পষ্ট।

অঘটনের নায়ক স্টুয়ার্ট বললেন, “উইকেটে বলটা ভাল যাচ্ছিল বলে ব্রেক-এর সময় আমি আর মোহিত আলোচনা করছিলাম, বলটা ঠিক জায়গায় রাখতেই হবে। তা হলেই সফল হওয়া যাবে। সেটাই করলাম।” ১৯৯৩-এ ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২ রানে ছ’উইকেট নিয়ে বিপক্ষকে শুইয়ে দিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে। পদ্মার ওপারে এ বার তাঁর সেই মাইলফলকও পিছনে ফেলে দিলেন বেঙ্গালুরুর ৩০ বছর বয়সি এইনতুন তারকা। আর ওয়ান ডে ক্রিকেটের সেরা ইনিংসের তালিকায় সেরা দশের মধ্যে ঢুকে পড়ল জুনিয়র বিনির এই বোলিং। জায়গা করে নিল ন’নম্বরে। স্টুয়ার্টের বক্তব্য, “সুযোগটা পেয়েছিলাম, কাজে লাগিয়ে নিলাম।”

বৃষ্টির জন্য ৪১ ওভার ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এ দিন ২৮-এই তিন উইকেট পড়ে যায় ভারতের। ক্যাপ্টেন রায়না ২৭ করে স্কোরবোর্ডে গতি আনার চেষ্টা করলেও বাকিরা ফ্লপ। মনোজ অবশ্য এ দিনও খেলননি। শেষে উমেশ যাদব একটি ছয় হাঁকিয়ে দলকে একশোর গন্ডি পার করান। এর পর বাংলাদেশ ৫০-৪ হওয়ার পর মাত্র আট রানের মধ্যেই বাকি ছ’উইকেট পড়ে যায়। ক্ষুব্ধ ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিমের বক্তব্য, “সারা দুনিয়ার সামনে ব্যাটসম্যানরা যে ভাবে মান-সম্মান ডোবাল, তা খুবই হতাশাজনক।”

সচিনের পাশে সানি
সংবাদ সংস্থা • দুবাই

তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে ব্যাট করেননি কখনও। তবে এ বার থেকে দু’জনকে একসঙ্গে গল্ফ খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সচিন তেন্ডুলকর আগেই দুবাই স্পোর্টস ক্লাবের এল্স ক্লাবের সাম্মানিক সদস্য ছিলেন। এ বার সেই ক্লাব সাম্মানিক সদস্য করল গাওস্কর-কেও। যা নিয়ে গাওস্কর বলেছেন, “চট্টগ্রামে এক বার সচিনের সঙ্গে গল্ফ খেলেছিলাম। ও খুব সিরিয়াস প্লেয়ার। গল্ফেও বলটা দারুণ হিট করে!” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “দুবাইয়ে আমরা দু’জন একই সময় থাকলে নিশ্চয়ই একসঙ্গে গল্ফ খেলব। তবে এই ব্যাপারে সচিন আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ”


ভারতে ফের ফুটবল মরসুম শুরুর আগেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিলেন টোলগে
ওজবে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বহু দিনের বান্ধবী সেরাপের সঙ্গে। ছবি ফেসবুক থেকে।

india bangladesh cricket
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy