ব্রাজিল কোথায় এগিয়ে
এক) পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের ফুটবল ঐতিহ্য এবং আত্মপ্রত্যয় যে কোনও ম্যাচেই দলকে এগিয়ে রাখে। আর এ বার তো নিজেদের মাঠে খেলা।
দুই) নেইমার সুস্থ হয়ে ওঠায় ব্রাজিল অনেকটা সমস্যা মুক্ত হয়েছে। নেইমার ভাল শুটার, প্লে মেকার, সেট পিসে ভাল, গোলটা চেনে। ফলে যে কোনও ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। মেসির মতোই।
তিন) অস্কার ভাল বল প্লেয়ার। ওর সঙ্গে নেইমারের যুগলবন্দি যত দিন যাচ্ছে তত কার্যকর হচ্ছে।
চার) প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের রক্ষণকে যতটা ছন্নছাড়া মনে হয়েছিল, এখন বেশ সংগঠিত মনে হচ্ছে। থিয়াগো সিলভা, মার্সেলো, আলভেজরা ভাল খেলছে।
পাঁচ) হাল্ক শক্তি ও গতি দিয়ে খেলে। স্কিল আছে। নেইমারের মতো রোগাটে ধরনের নয়। নেইমার মার্কড হয়ে গেলে হাল্ক বড় ভূমিকা নিতে পারে।
কোথায় পিছিয়ে
এক) স্কোলারির টিমের মাঝমাঠ সবচেয়ে আগোছাল। এটা না গোছাতে পারলে কিন্তু সমস্যায় পড়বে ব্রাজিল।
দুই) ফ্রেড, ফার্দিনান্দ, পওলিনহোরা মাঝমাঠে বল ধরে খেলতেই পারছে না।
তিন) গুস্তাভোর না থাকাটা বড় ক্ষতি। ডিফেন্সিভ স্ক্রিনের কাজটা ভাল করে।
চার) কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ গোলটা চেনে। গুস্তাভো না থাকায় ওকে নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ব্রাজিল।
কলম্বিয়া কী করতে পারে
এক) আমার ধারণা কলম্বিয়া রদ্রিগেজকে সামনে রেখে কাউন্টার অ্যাটাকের ফুটবল খেলবে।
দুই) ব্রাজিলের উপর প্রত্যাশার চাপ অনেক। কলম্বিয়ার সেটা নেই। তা ছাড়া পড়শি দেশ বলে আবহাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই। সেই সুযোগ কলম্বিয়া নেবে।
তিন) নেইমারকে আটকানোর জন্য মারিও ইয়েপেসকে বাড়তি দায়িত্ব দিতে পারেন ওদের কোচ। মারিও খুব ভাল ফর্মে আছে।
চার) রদ্রিগেজ খুব প্রতিভাবান ফুটবলার। পাঁচ-পাঁচটা গোল করেছে। ওকে এবং মার্টিনেজকে দিয়েই নিশ্চয়ই ব্রাজিল রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করবেন হোসে পেকেরম্যান।
কে এগিয়ে ম্যাচে
ব্রাজিল ৬০, কলম্বিয়া ৪০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy