রাউল গঞ্জালেসকে ছুঁলেন। কিন্তু লিওনেল মেসিকে নন। আগের দিনই এলএম টেন হ্যাটট্রিক করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বকালীন হায়েস্ট স্কোরারের তালিকায় শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ৭৪ গোল। রাউলের ৭১ গোল টপকে। চব্বিশ ঘণ্টা পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বাসেলের বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের একমাত্র গোল করে রাউলের সমান ৭১ গোলে পৌঁছলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এখনও তিন গোলে পিছিয়ে থাকলেন। যদিও চলতি মরসুমে রিয়াল জার্সিতে ২১ ম্যাচে ২৮ গোলে পৌঁছে ভয়ঙ্কর ফর্ম বজায় রেখেছেন সিআর সেভেন।
আর্সেনালের কাছে ০-২ হেরে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কোচ য়ুরগেন ক্লপের নিজের টিমের ফুটবলারদের উপর প্রবল খাপ্পা হয়ে ওঠা। অখ্যাত লুদোগেরেট্সের কাছে তিন মিনিটে গোল হজম করে লিভারপুলের কোনওক্রমে ২-২ ড্র করতে পারা। মান্দজুকিচের হ্যাটট্রিকে আটলেটিকো মাদ্রিদের ৪-০-তে অলিম্পিয়াকোসকে চুরমার করা। বুধ-রাতের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এহেন সব ঘনঘটার মধ্যে টিআরপি কিন্তু যথারীতি সবচেয়ে বেশিবাসেলের সেন্ট জেকব পার্কে ম্যাচ চলাকালীন বারদুয়েক সমর্থকদের সঙ্গে রোনাল্ডোর মোকাবিলা! যে ঘটনাকে ওয়াকিবহাল মহল রিয়ালের পর্তুগিজ মহানায়কের সঙ্গে দর্শকদের ‘লাভ অ্যান্ড হেট’ সম্পর্ক হিসেবে দেখছে!
গত রাতে বাসেল-রিয়াল ম্যাচে প্রথম ক্ষেত্রে মাঠের ভেতর রোনাল্ডোর কাছে দু’জন দর্শক ছুটে এসে তর্ক জুড়ে দেন। নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য ক্ষেত্রে আবার এক মাঝবয়সি মহিলা মাঠের ভেতর ঢুকে রোনাল্ডোকে জড়িয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন। এ ছাড়া ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপের সময়ও রোনাল্ডোর কাছে এক দর্শক পৌঁছে গিয়েছিলেন। কোনও ক্ষেত্রেই অবশ্য রোনাল্ডোকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিরক্ত বোধ করতে দেখেননি। বরং সিআর সেভেন এ রকম উত্তেজিত দর্শককেও নিরাপত্তারক্ষীদের কবল থেকে বাঁচান বলে ফুটবল মহলে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা। বুধবারও যার ব্যতিক্রম নয়।
আগেই নক আউটে পৌঁছে যাওয়া রিয়াল গ্রুপে সব ম্যাচ জিতে যথারীতি শীর্ষে। আটলেটিকোও নিজেদের গ্রুপে এক নম্বরে। তেভেজের গোলে জিতে জুভেন্তাস দুইয়ে উঠে এসেছে। অন্য গ্রুপে লেভারকুসেনকে মোনাকো হারালেও দু’দলের এক আর দু’নম্বর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেনি। যেমন আর্সেনালও জিতলেও ডর্টমুন্ডের পরে দ্বিতীয় স্থানে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy