Advertisement
E-Paper

শিশিরের কথা মাথায় রেখে শামির সঙ্গে অ্যারন খেলুক

মজা, উত্তেজনা, বিনোদন আর চমকের জন্য যাঁরা ক্রিকেটের এই সবচেয়ে ছোট ফর্ম্যাটের ভক্ত, তাঁরা নিশ্চয়ই বেল আর স্টাম্পের আলো জ্বলা ব্যাপারটা নিয়ে বেশ আগ্রহী। সুইচ হিট বা রিভার্স সুইপ সবই এখন আধুনিক ক্রিকেটের অংশ। মনে হয় এলইডি স্টাম্প আর বেল খেলাটাকে আরও রঙিন করে তুলবে। প্রযুক্তিটা যদি নিখুঁত হয়, তা হলে সেটা ক্লোজ স্টাম্পিং বা রান আউটের ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের কাজটাও সহজ করে দেবে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০২:২১
অ্যারন: গতিই ভরসা।

অ্যারন: গতিই ভরসা।

মজা, উত্তেজনা, বিনোদন আর চমকের জন্য যাঁরা ক্রিকেটের এই সবচেয়ে ছোট ফর্ম্যাটের ভক্ত, তাঁরা নিশ্চয়ই বেল আর স্টাম্পের আলো জ্বলা ব্যাপারটা নিয়ে বেশ আগ্রহী। সুইচ হিট বা রিভার্স সুইপ সবই এখন আধুনিক ক্রিকেটের অংশ। মনে হয় এলইডি স্টাম্প আর বেল খেলাটাকে আরও রঙিন করে তুলবে। প্রযুক্তিটা যদি নিখুঁত হয়, তা হলে সেটা ক্লোজ স্টাম্পিং বা রান আউটের ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারের কাজটাও সহজ করে দেবে।

আসল ক্রিকেটের কথায় আসি। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হারটা আশা করি ভারতকে নড়েচড়ে বসতে সাহায্য করবে। এই হার বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, যেগুলোর উত্তর তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে হবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে দলগত খেলায় এ রকম সমস্যা থাকা ভাল। আরও এক বার অমিত মিশ্র ভাল বল করল। অধিনায়কের প্রত্যাশামতো খেলে দিল অশ্বিন। আর রবীন্দ্র জাডেজা এমন এক ক্রিকেটার, যাকে এই ফর্ম্যাটের দল থেকে বাদ দেওয়া অসম্ভব। তাই মনে হয় তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে চাইবে ভারত। যদিও শিশির ফ্যাক্টরের জন্য তিন স্পিনার খেলানোর বাড়তি সুবিধে না-ও পাওয়া যেতে পারে। ভারতের সব ক’টা ম্যাচ শুরু সন্ধে সাতটায়, ফ্লাডলাইটে। তাই শিশিরের ব্যাপারটা ওদের প্রভাবিত করবেই। এ ক্ষেত্রে টস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না। সাধারণত শিশির ফ্যাক্টর থাকলে যে টিমে বেশি ভাল পেসার আছে, তারাই সুবিধে পায়। কারণ পিচে বলটা পিছলে যায়। সেক্ষেত্রে বরুণ অ্যারন আর মহম্মদ শামিকে দলে রাখতেই হবে। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারকে আরও উন্নতি করতে হবে। নতুন বলে ওর চারটে ওভার কি ধোনি শেষ করতে পারবে? অতীতে ভারতীয় পরিবেশে যেটা ও করে এসেছে?

ব্যাটিং বিভাগে ধোনিকে ভাবতে হবে শিখর ধবনের ওপেনিং পার্টনার কে হতে পারে রোহিত না রাহানে? তার পর একে একে আসবে বিরাট, যুবরাজ, রায়না, ধোনি, জাডেজা আর বাকিরা। রোহিতকে কিন্তু এ বার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এই ফর্ম্যাটে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ওপেন করতে নেমে দারুণ পারফর্ম করেছে রাহানে। তাই ওকে বেশি দিন রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখাটা কঠিন হবে। এতে অবশ্য রোহিতের ভালই হবে, কারণ একটু চাপ থাকলে ওর খেলার উন্নতি হবে।

দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের সামনে ইংল্যান্ড। যে ইংল্যান্ড টিমের পুরো খোলনলচে বদলে গিয়েছে। ইংরেজ ক্রিকেটের উপর অ্যাসেজের প্রভাব কতটা, দেখলে সত্যিই অবাক লাগে। বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে ওরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকবে, কারণ ওরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে এই টুর্নামেন্টটা খেলতে এসেছে। আর এখন বাউন্স আর মুভমেন্টের ক্ষেত্রে ক্যারিবিয়ান পিচের সঙ্গে বাংলাদেশের উইকেটের বেশ মিল আছে।

বোলিং বিভাগে গতির অভাব ইংল্যান্ডের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্টুয়ার্ট ব্রড চোট সারিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তৈরি আছে। তবে আমার চোখ থাকবে ক্রিস জর্ডানের উপর। বোলার হিসেবেই ও শুধু ভাল নয়, লোয়ার অর্ডারে বেশ ভাল ব্যাটও করে দিতে পারে। কিন্তু ইংল্যান্ডের নায়ক হয়ে যেতে পারে জোস বাটলার। এই ইংল্যান্ড টিমে ও বড় সম্পদ। শেষের দিকে অ্যাডজাস্ট করে বড় শট খেলার অসাধারণ ক্ষমতা ওর আছে। বাংলাদেশের পিচে ওকে দারুণ কাজে লাগবে ইংল্যান্ডের।

যাই হোক, আসল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারত আর ইংল্যান্ড দুটো টিমই চাইবে পরীক্ষানিরীক্ষা করে নিতে।

sourav ganguly shami aaron
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy