কমনওয়েলথ গেমে সাঁতারে ব্রোঞ্জ পেয়ে আসার পরে রবিবার কোড়াপাড়ায় সাকিনা খাতুনের বাড়ি গেলেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি। সাকিনাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। রাখি পরান সাকিনার মা-বাবাকে।
গত বুধবার দমদম এয়ারপোর্ট থেকে বসিরহাটে আসার পরে অন্ধকার রাস্তা পেরিয়ে গ্রামে ঢুকতে হয় সাকিনাকে। আনন্দবাজারে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে এ দিন সাকিনার বাড়ি গিয়ে সাংসদ জানিয়ে দেন, কোড়াপাড়া বাজার থেকে সাকিনাদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় পাঁচশো মিটার রাস্তা কংক্রিটের করা হবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের সকলে চাইলে সাকিনার নামে রাস্তাও করা হবে। এ দিন সাকিনার বাবা-মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ইদ্রিশ। বলেন, ‘‘এমন মেয়ের জন্য আমরা সকলেই গবির্ত। আমরা সকলেই ওর পাশে আছি। কোনও প্রয়োজন হলেই জানাবেন। মনে রাখবেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাকিনার পাশে আছেন।’’
এ দিন সাংসদের কাছ থেকে সাহায্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা শুনে তখন সাকিনার বাবা-মায়ের চোখে তখন জল। নিজেকে সামলে নিয়ে সাকিনার মা নুরজাহান বলেন, ‘‘কখনও পরের বাড়িতে, কখনও পরের জমিতে কাজ করে অনেক কষ্ট করে মেয়েটাকে মানুষ করেছি। মাত্র দু’বছর বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মেয়েটার পা বেঁকে যায়। হাসপাতালে থাকার পরে মনের জোরে খানিকটা সুস্থ হয়। ছোট থেকেই সাঁতারের শখ ছিল। অনেক পুরস্কারও পেয়েছে। সকিনার জেদ ছিল, কোনও না কোনও দিন আরও ভাল কিছু করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেবে। ও কথা রেখেছে।’’
এ দিন ইদ্রিশ যখন সাকিনার বাড়িতে যান, সে সময়ে সে বাড়ি ছিল না। ফোনে বলে,‘‘সাংসদ বাড়ি যাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। আরও ভাল লাগছে, গ্রামের মানুষদের আর কাদা প্যাচ পেচে রাস্তায় কষ্ট করে হাঁটতে হবে না জেনে। এলাকায় উন্নয়ন হবে জেনে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy