ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানকে আউট করে কুলশেখরা। ছবি: পিটিআই।
নেদারল্যান্ডস মানেই কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাটক? পাঁচ বছর আগে লর্ডসে উদ্বোধনী ম্যাচে উদ্যোক্তা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে অবাক করে দিয়েছিল ডাচরা। তারাই তিন দিন আগে বাংলাদেশের মাঠেই কুড়ি ওভারের ফর্ম্যাটে সর্বকালের সর্বনিম্ন রানে অল আউট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আবার এ দিন চট্টগ্রামে স্টেইন-মর্কেল-সতসবের গোলাগুলি সামলে নেদারল্যান্ডস প্রায় জিতেই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের (৪-২১) কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকা ছ’রানে জেতে।
বিপক্ষকে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৫ রানে (সর্বোচ্চ রান ওপেনার হাসিম আমলার ৪৩) আটকে রাখার পর ১৪৬ রানে টার্গেট তাড়া করে শেষ ১২ বলে ৯ রান দরকার ছিল ডাচদের। হাতে অবশ্য মাত্র এক উইকেট ছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো না করেও রানটা তোলা অসম্ভব ছিল না। তার উপর সেই সময় এগারো নম্বর ফান ডার গটেনকে মিডউইকেটে ফস্কে ডেল স্টেইন আরও বিপদ জেকে এনেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষমেশ ১৯তম ওভারে হেনড্রিকস ডাচদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে দু’প্লেসির দলের মুখে স্বস্তির হাসি ফোটান। নেদারল্যান্ডস ১৮.৪ ওভারে অল আউট হয় ১৩৯ রানে। তিন ম্যাচে দুই জয়ের সুবাদে চার পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে থাকল। তা সত্ত্বেও ডাচ পেসার আহসান মালিকের এ দিনের বোলিং (৪ ওভারে ৫-১৯) ভোলার নয়। স্টেইনের দলের বিরুদ্ধে স্টেইনগান সুলভই পেস বোলিং স্পেল!
পরে একই গ্রুপে চট্টগ্রামের মাঠেই ইংল্যান্ড বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে তোলে ১৮৯-৪। ওপেনার দিলশান ৪৭ বলে ৫৫ রান করে ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়ার পর তার উপর রানের ইমারত গড়েন মাহেলা জয়বর্ধনে। ১১টি বাউন্ডারি, তিনটি ওভার বাউন্ডারি-সহ ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে জয়বর্ধনে মাত্র ৫১ বলে করে যান ৮৯ রান। ডার্নবাখ, ব্রেসনানরা তাঁদের ৪ ওভারে ৪০-এর বেশি রান খরচ করেন। জবাবে ইংল্যান্ড শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ ওভারে ৪৯-২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy