বাংলা-১ (নীলকান্ত)
রেলওয়েজ-১ (জিলেন্দ্র)
সন্তোষ ট্রফিতে ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক করে ফেলল বাংলা। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রেলওয়েজের সঙ্গে ১-১ ড্র করে এ বারের মতো জাতীয় ফুটবল থেকে ছিটকে গেল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য-শিশির ঘোষের দল। তা-ও ৯০ মিনিট এক গোলে এগিয়ে থাকার পর ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে!
এ দিনের প্রথম ম্যাচের পরেই গ্রুপ লিগ থেকে বাংলার বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। ক্ষীণ একটা আশা বেঁচেছিল। পরের তামিলনাড়ু-পঞ্জাব ম্যাচ ড্র হলে একটা সুযোগ থাকত গ্রুপের শেষ ম্যাচে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে। কিন্তু এ দিন তামিলনাড়ু ৩-২ জিততেই বাংলার যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায়। শিশিররা অবশ্য পরের ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন না। নিজেদের ম্যাচের পরেই “আমাদের ফুটবলাররা আজ যা খেলেছে তাতে আর যাই হোক সেমিফাইনালে ওঠা যায় না। অসম্ভব, অসম্ভব ....” বলতে বলতে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান বাংলার টিডি-কোচ। এ দিন ২১ মিনিটে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের থ্রো থেকে ভিড়ের মধ্য থেকে নেওয়া নীলকান্ত পারিয়ার হেডে বাংলা এগিয়ে যায়। রেল ১-১ করে পাঁচ মিনিটের ইনজুরি টাইমে। শিব্রা নার্জারির ফ্রিকিক থেকে জিলেন্দ্র ব্রহ্ম গোল শোধ করে সবচেয়ে বেশি বারের সন্তোষ চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ের রাস্তা তৈরি করে দেন।
কোয়ার্টার ফাইনাল গ্রুপে ৩ ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট ২, তামিলনাড়ুর ৬, রেলের ৫, গোয়ার ৪। রেলওয়েজ-গোয়া শেষ ম্যাচ খেলবে নিজেদের মধ্যে। নিজের দলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে যথেষ্ট বিরক্ত শিশির। মাঠের ধারে রেলের এক ফুটবলারের সঙ্গেই তাঁর তর্ক বেঁধে যায়। বিপক্ষ দলের সেই ফুটবলারের দাবি, তাঁকে বাংলার কোচ কটু মন্তব্য করেছেন। শিশিরের পাল্টা দাবি, তিনি রেল ফুটবলারদের কিছু বলেননি। মন খারাপ থাকায় আপন মনে বিড়বিড় করছিলেন। কিন্তু শিশিরের দিতে তেড়ে যান রেলের সহকারী কোচ। শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষই পরিস্থিতি সামলে নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy