হাওড়া স্টেশনে চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং।—ছবি পিটিআই।
রাজ্যে করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এ দিন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন কলকাতার। তবে কো-মর্বিডিটিতে মৃতের সংখ্যা ৭২ থেকে আর বাড়েনি। বৌবাজার থানার দুই অফিসার, অন্য দুই থানার দুই পুলিশকর্মী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্যে নতুন করে ১৩টি এলাকা (উত্তর ২৪ পরগনায় ন’টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তিনটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি) ‘কন্টেনমেন্ট জ়োনের’ তালিকায় ঢুকেছে। এ দিন পর্যন্ত রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯,৫৪৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৭০৬টি।
স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৮৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এ দিন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২৪৬১ জন। কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জ়োন না-বাড়লেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে নতুন সংক্রমণের নিরিখে যা অর্ধেকেরও বেশি। হাওড়ায় এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। তাঁদের অধিকাংশই দু’টি থানার কর্মী। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের দুই নার্স এবং কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের এক আধিকারিক ও ট্র্যাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল রয়েছেন। হাওড়া স্টেশনে কর্মরত দু’জন পুলিশকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘গ্রিন জ়োন’ হওয়ার পথে বেলগাছিয়া বস্তি এলাকা
পশ্চিম বর্ধমানে এক মহিলা এবং তাঁর ছেলে করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে তাঁরা মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। ১১ মে আসানসোলে পৌঁছন। তখনই তাঁদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার তাঁদের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের ওই দুই বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। তাঁদের কাঁকসার কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ক্যানসার অস্ত্রোপচারের সম্মতি এল ভিডিয়ো কলে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy