Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

রাজ্যে এক দিনে মৃত ৩৫, কলকাতায় আক্রান্ত ৬৫১, সংক্রমণের হার কমে ১৭.৩১%

মৃতদের মধ্যে ১৬ মারা গিয়েছেন কলকাতার এবং ১৩ জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ২১:৪১
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। সেই সঙ্গে ওই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৬১। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সব মিলিয়ে করোনায় মারা গিয়েছেন ১ হাজার ১৮২ জন। তবে এরই মধ্যে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার সংক্রমণের হার সামান্য একটু হলেও কমেছে।

প্রথম থেকেই কলকাতায় করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছিল। সেই ধারা এখনও বজায় রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে নতুন করে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ১৬ মারা গিয়েছেন কলকাতাতেই।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কলকাতা ছা়ড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৫৬, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০৭, হাওড়ায় ২২০ ও হুগলিতে ৭৫ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে ৭৭, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯, পশ্চিম বর্ধমানে ৮৩ এবং পূর্ব বর্ধমানে ৪১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ দিন। নদিয়ায় এ দিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এ দিন ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে ৩৩, দার্জিলিঙে ৮৭, জলপাইগুড়িতে ৯২, উত্তর দিনাজপুরে ৬৭ এবং মালদহে ৫৯ জনের নতুন করে করোনা ধরা পড়েছে।

আরও পড়ুন: বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না, আগামী বার বৃহত্তম সভা: হুঙ্কার মমতার

প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৪২৯ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এ রাজ্যে, যার মধ্যে মঙ্গলবারই ১৩ হাজার ৬৪ জনের পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২ হাজার ২৬১ জনের যা ১৭.৩১ শতাংশ। সোমবার সংক্রমণের হার ছিল ১৭.৪৫। বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হওয়াতেই সংক্রমণের হার বেড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৮ হাজার ৩৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ জন।

আরও পড়ুন: দেশে মোট আক্রান্ত ১১ লক্ষ ৫৫ হাজার, মৃত্যু ছাড়াল ২৮ হাজার

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে—পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১২৮। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৪৮। তার আগের দু’দিন ছিল ১১৫ এবং ১০১। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ১৩৬ এবং ১৪২। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১২৮, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE