বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি পিটিআই।
দুর্গাপুজো করা নিয়ে মঙ্গলবার দলের রাজ্য নেতারা যা যা বলেছিলেন, বুধবার কার্যত তার সবই খারিজ করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, তাঁদের দলের তরফে প্রথম রাজ্যে দুর্গাপুজো করা হবে। সঙ্গে চার দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ওই পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (ইজেডসিসি) ওই দুর্গাপুজো হবে। কেন সরাসরি দলই দুর্গাপুজো করবে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। কিন্তু বুধবার দিলীপবাবু জানিয়ে দেন, ‘‘বিজেপি কোথাও কোনও পুজো করছে না। বলা হয়েছে কি বিজেপি পুজো করছে? পুজো করা বিজেপির কাজ নয়। আমরা শুধু ২২ তারিখ বোধন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব। সমাজের সামনে একটা অনুষ্ঠান করে বার্তা দিতে চাইব। আর আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী সে দিন মানুষের উদ্দেশে শুভেচ্ছা-ভাষণ দিন।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘পুজো করলে বিধি-বিধান অনুযায়ী পাঁচ দিন করতে হয়। সেটা হবে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও এক দিন, শুধু ২২ তারিখ হওয়ার কথা।’’
কিন্তু দলের রাজ্য নেতারা মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, প্রতিমা রেখে শাস্ত্রীয় বিধান মেনেই দুর্গাপুজো হবে। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘একটা প্রতীক থাকতে পারে। দল পুজো করছে, এমন আমার জানা নেই। কোনও মোর্চা বা শাখা করতে পারে।’’
বিজেপির তরফে দুর্গাপুজোর দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য দলের সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিষয়ে এ দিন বৈঠক করেছেন। তা হয়েছে বিজেপিরই হেস্টিংস কার্যালয়ে। বৈঠকের পরে প্রতাপবাবু এ দিনও বলেন, ‘‘ইজেডসিসি আমরা ভাড়া পেয়ে গিয়েছি। ষষ্ঠী থেকে নবমী বাংলার ঐতিহ্য মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দশমীতে সিঁদুর খেলা এবং প্রতিমা বিসর্জন হবে। পুজো ও উৎসবের দায়িত্বে থাকছে দলের মহিলা মোর্চা এবং সাংস্কৃতিক সেল। আমরা তাদের সাহায্য করছি।’’ প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্বে থাকবে বিজেপির যুব মোর্চা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy