মমতাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, পরে কোনও বাঙালি বিজেপি থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু, সবার আগে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
শনিবার ছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তখনই তিনি মমতার সুস্থতা ও সাফল্য কামনা করেন। দিলীপ ঘোষের কথায়: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের উপর পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নির্ভর করছে।’’ আগামী দিনে মমতা যাতে আরও ভাল কাজ করেন, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এর পরই তিনি বলেন, ‘‘বাংলা থেকে যদি প্রথম কেউ প্রধানমন্ত্রী হন, তা হলে মমতার সম্ভাবনাই সব থেকে বেশি। পরে কেউ বিজেপি থেকে হতে পারেন। প্রথম বাঙালি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এ বার এক জন বাঙালির প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। আর এই তালিকায় সব থেকে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে মমতারই।’’ একই সঙ্গে, অতীতে জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার প্রসঙ্গটিও তুলে আনেন তিনি। দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘তাঁর দল জ্যোতিবাবুকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি।’’
স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক জল্পনা নতুন মাত্রা নিয়েছে। কেউ বলেছেন, এটা নেহাতই সৌজন্যমূলক মন্তব্য। আবার কারও দাবি, মুখে যা-ই বলুন, রাজনৈতিক ভাবে বাংলায় বিজেপি যে কোণঠাসা তা স্পষ্টই বুঝে গিয়েছেন দিলীপবাবুরা। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেই বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রথম সারিতে। এ বার সে কথাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।
এখন দেখার দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর দল কোনও মন্তব্য করে কি না। এমনকী, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কি না, সেটাও রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবরআমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy