রাজপথে: বুধবার কলকাতার কলেজ স্কোয়্যারে মালদহের গনি খান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের সভা। নিজস্ব চিত্র
মালদহের সঙ্গে এবার কলকাতাতেও আন্দোলনে নামলেন গনি খান নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) পড়ুয়ারা।
টানা ১৭ দিন ধরে মালদহের ওই কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান-বিক্ষোভ ও রিলে অনশন তো চলছেই। জিকেসিআইইটি’র পড়ুয়ারা তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করল কলকাতার রাজপথেও। বুধবার দুপুরে পড়ুয়াদের একাংশ কলকাতার তিন নম্বর সেক্টরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি জানান তাঁরা। পরে বিকেল থেকে কলকাতার কলেজ স্কোয়্যারে চলে পথসভা। জানা গিয়েছে, দু’টি কর্মসূচিতেই পড়ুয়াদের পাশে ছিলেন যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মালদহে কলেজে অবস্থান-বিক্ষোভ চালানোর পাশাপাশি তাঁরা কলকাতাতেও একই ধরনের কর্মসূচি লাগাতার শুরু করবে কি না তা চিন্তাভাবনায় রেখেছে পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছে, আলোচনা করার পরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
জিকেসিআইইটি থেকে মড্যুলার প্যাটার্নে উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট প্রদান ও ল্যাটারাল এন্ট্রি করে বি টেকে ভর্তির ব্যবস্থার দাবিতে গত ২৩ জুলাই থেকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এদিন পড়ুয়াদের আন্দোলন ১৭ দিনে পড়ল। এ ছাড়া ৩০ তারিখ থেকে রিলে অনশনও চলছে। এদিকে গত ২ অগস্ট থেকে পড়ুয়ারা প্রশাসনিক ভবনে কোনও কর্মীকে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিনও কোনও কর্মী বা আধিকারিককে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সোমবার মিডটার্ম পরীক্ষাও বয়কট করেছিল পড়ুয়ারা। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন চলাকালীন নুজহাত বানু নামে এক আন্দোলনকারী ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে তখন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাংসদ মৌসম নুর। মৌসমই ছাত্রীটিকে নিজের গাড়িতে তুলে এনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সেই ছাত্রী।
এদিকে, এদিন দুপুরে মিছিল করে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় শাখায় বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে কোনও আশ্বাস মেলেনি বলেই পড়ুয়াদের দাবি। বিকেল থেকে কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে তাঁরা পথসভা করেন। সভায় কলেজের পড়ুয়াদের পাশাপাশি যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও সামিল হয়ে বক্তব্য রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy