নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এ দিন ইলামবাজারের নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘‘খুব শীঘ্র দিদির সূর্য অস্ত যাবে। তাঁর পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছো।’’
তৃতীয়দফার নির্বাচন চলাকালীন গতকাল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। তা নিয়েও এ দিন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘দিদি ভয় পেয়েছেন। তাই হিংসার আশ্রয় নিচ্ছেন।’’
বাংলার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সেই টাকা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজে লাগেনি বলেও অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মমতা দিদি এখনও মিষ্টি পাঠান, কুর্তা বেছে দেন, অক্ষয়ের মুখোমুখি ‘ব্যক্তি’ নরেন্দ্র মোদী
আপনাদের চৌকিদারই ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মেরেছে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে কাউকে মাথা নত করে থাকতে হয় না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের গুন্ডাদের সামেন মাথা নত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ২৩ মে ফের মোদী সরকার আসবে। তৃণমূলের গুন্ডা, মাফিয়ারা বাংলার মানুষের সাধারণ মানুষের জীবন তছনছ করে দিয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাংলাদেশ থেকে লোক এনে মোদীকে তাড়াতেই উঠে পড়ে লেগেছেন তিনি। বিশ্বের অনেক দেশ ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। তাই বিদেশে কেউ টাকা রাখলে খবর পেয়ে যাচ্ছে সরকার। এই চাওয়ালার বিদেশ সফরের জেরেই তা সম্ভব হচ্ছে। দিদি বলছেন চাওয়ালা শুধু বিদেশ ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সারা বিশ্ব আজ ভারতকে যে শ্রদ্ধা ও সম্মান দিচ্ছে, তা এই চাওয়ালার বিদেশ সফরেরই সুফল। ভারতের ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছি আমি। ভোটব্যাঙ্কের জন্য অনেকেই রাজনীতি করেন, কিন্তু দিদি এয়ারস্ট্রাইক নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন। পাকিস্তানে ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করে এসেছে আমাদের সেনা। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দিদি। তৃণমূলের তোলাবাজদের টাকা না দিয়ে কোনও কাজ হয় না বাংলায়। দিল্লির ভর্তুকিতেও তোলাবাজি চলছে। কিন্তু দিদির কাছে গুন্ডাদের ক্ষমতা থাকলে, আমাদের কাছে গণতন্ত্রের ক্ষমতা রয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডারা শান্তিনিকেতনকে অশান্ত করে দিয়েছে। স্পিডব্রেকার দিদি বাংলার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বোমা তৈরিতে অবাধ ছাড় দিয়েছে তৃণমূল সরকার। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ ইভিএমে ভোটার স্লিপ গুনে দেখার আর্জি, সুপ্রিম কোর্টে ২১ বিরোধী দল
সিন্ডিকেটের সামনে হাতজোড় করতে হয় সাধারণ মানুষকে। বাংলায় অত্যাচারী সরকারের পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দিদি শুধু অনুপ্রবেশ এবং দাদাগিরিকে টপ গিয়ারে এনেছেন মমতা। বাংলাকে তৃণমূলের গুন্ডাগিরি থেকে মুক্তি দেব। তৃণমূলের গুন্ডাদের রুখতে হবে। সিংহাসন হারানোর ভয় পেয়েছেন মমতাদিদি। বাংলায় দিদির সূর্য অস্ত যাবে। যত ঝামেলা করবে, তত বেশি পদ্ম ফুটবে। বাংলার আশীর্বাদ আমার শক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy