বজবজ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠুন ঠিকাদার।
নদিয়ার পরে এ বার বজবজ। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বজবজের এক তৃণমূল কাউন্সিলর। রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বজবজ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই কাউন্সিলরের নাম মিঠুন ঠিকাদার।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন হামলার সময় তিনি পার্টি অফিসেই ছিলেন। সে সময়ই পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে তাঁর উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলি তাঁর বুকে এবং পেটে লাগে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁকে বজবজেরই একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোলমালের জেরে অনেক দিন ধরে গোলমাল চলছিল এলাকায়। দূর্গাপুজোর সময় থেকেই তৃণমূলের এই অভ্যন্তরীণ গোলমাল সামনে আসে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এলাকারই নাড়ু নামে এক বাসিন্দার নাম উঠে আসছে এই হামলার পিছনে। নাড়ু নাকি এর আগেও একবার ওই কাউন্সিলরের উপরে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান বিশ্বজিৎ-শঙ্কুদেবের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যে কারা অস্বস্তি তৈরি করতে চাইছে তা সবাই জানে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ ওই এলাকায় একটা সেতুর উদ্বোধন হল, আমাদের বৈঠকও হল। তারপরই এই ঘটনা। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আমরা মানুষের উন্নয়ণ করতে চাইছি আর বিজেপি খুন-জখমের রাজনীতি করে রাজ্যের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চাইছে।’’
বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত এই ঘটনার পিছনে বিজেপি হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দুটো নাম মিঠুন বলতে পেরেছেন। তারা দু’জনেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী।’’ গৌতম দাশগুপ্তের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন রাহুল সিংহ। উল্টে তিনি বলেছেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে তৃণমূল শেষ হবে। যে বলছে বিজেপি করিয়েছে, আসলে দেখবেন সে-ই করিয়েছে এ সব। এটা আসলে ওদের ঘরোয়া লড়াই। এ ভাবেই নিজেদের মেরে শেষ হবে তৃণমূল কংগ্রেস।’’
কিছু দিন আগেই নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy