Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কেউ আমার প্লেটে কিছু সাজিয়ে দেয়নি

তাঁকে নিয়ে সব গসিপের জবাব দিলেন। আনন্দ প্লাস-এর মুখোমুখি ঋতাভরী চক্রবর্তী।তাঁকে নিয়ে সব গসিপের জবাব দিলেন। আনন্দ প্লাস-এর মুখোমুখি ঋতাভরী চক্রবর্তী।

ঋতাভরী চক্রবর্তী।

ঋতাভরী চক্রবর্তী।

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

প্র: আপনার বড় হয়ে ওঠা আর্ট হাউস ফিল্ম দেখে। বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে বিশ্বাস করেন?

উ: (হেসে) সেটা বলব না। তা হলে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা আমাকে মেরে ফেলবে! তবে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘রাজ়ি’র মতো ছবিতে বিশ্বাস করি। আমার ‘ওম শান্তি ওম’ ভাল লেগেছে, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ লাগেনি। ছবিটা আমাকে হলে বসিয়ে রাখতে পারছে কি না, সেটা আসল। মানুষ যে সব সময়ে রিয়্যালিটি দেখতে পছন্দ করে, তা নয়। তা হলে তো শুধু ডকুমেন্টারি দেখত।

প্র: কেরিয়ারের এই সময়ে সেকেন্ড লিড হিসেবে কাজ করার পিছনে কারণ কী?

উ: মুম্বইয়ে আমার যে ম্যানেজার থাকে, সে-ও প্রশ্নটা করেছিল। তবে আমি ভাবনাচিন্তা করেই ‘শেষ থেকে শুরু’ করেছি। ফরজ়ানার চরিত্রটা খুব ভাল লেগেছিল। এই ছবির অভিজ্ঞতা বলছে, আমি ভুল করিনি।

প্র: আপনি যে হারে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ছবি দিচ্ছেন, তাতে একটা অন্য গন্ধও কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে!

উ: আমি গসিপের গন্ধ পাচ্ছি (হাসি)! এ সব কিছু না। রাজদার সঙ্গে আগে সে ভাবে আলাপ ছিল না। কাজ করে আমি খুব স্যাটিসফায়েড। কিছু জিজ্ঞেস করলে সব সময়ে লজিক দিয়ে বুঝিয়েছে। রাজদার কারণে আমি ফরজ়ানার চরিত্রটা ফোটাতে পেরেছি। কিছু মানুষ হয়, যাদের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে। রাজদা ইজ় ওয়ান
অব দেম।

প্র: নিজেকে নিয়ে গসিপের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল?

উ: হ্যাঁ। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এক জন মহিলা নিজের ক্ষমতায় কিছু করলে সেটা হজম করতে সমস্যা তো হবেই। লোকে ভাবে, আমি কী করে টাকা পাচ্ছি? কী ভাবে ‘নেকেড’, ‘পরি’, ‘ফুল ফর লাভ’ করে ফেললাম? শুরু থেকে বলি। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র পর থেকেই আমি অনেক বিজ্ঞাপন করেছি। তাই ভাল কাজের জন্য অপেক্ষা করতে সমস্যা হয়নি। একটা কাজের পরিপ্রেক্ষিতে আর একটা... একটা ব্র্যান্ড দিয়ে বাকিগুলো। জানেন, আমার দাদু এক বার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি কি ড্রাগস বিক্রি করি? ভাবতে পারছেন (হাসি)! আমার বিজ়নেস সেন্স খুব ভাল। আমি ড্যামসেল ইন ডিসট্রেস হয়ে বসে থাকতে পারব না। কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানে আমি কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোলাবরেট করার চেষ্টা করি। বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের হয়ে প্রচার করে দিই। কেউ আমার প্লেটে কিছু সাজিয়ে দেয়নি। কেউ একজন সব সুযোগ-সুবিধে করে দিচ্ছে— এমন হয় নাকি!

প্র: পুরোদস্তুর কেরিয়ার শুরু করতে একটু কি বেশি সময় নিলেন?

উ: গত তিন বছরে অনেক কাজই করেছি। মা ফিল্মমেকার হলেও আমার লাভ হয়নি। কারণ মা টলিউডের বাণিজ্যিক সিনেমা গোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত নয়। অন্যরা পরামর্শ দিত। পিআর করতে হবে, পার্টিতে গিয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। বুঝতে পারি না, কেন একটা মেয়েকে নিজের কেরিয়ার দাঁড় করাতে কোনও পুরুষের প্রয়োজন হবে? প্রভাবশালী বাবা, নয়তো প্রোডিউসার বয়ফ্রেন্ড লাগবেই? একশোটা রাস্তা খোলা আছে। তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে, তোমাকে বাছতে হবে।

প্র: মুম্বইয়ে আপনার এক জন বয়ফ্রেন্ড আছে বলে শোনা যায়।

উ: আমি তো শুনি আমেরিকাতেও এক জন আছে! তাকেই খুঁজে যাচ্ছি... (জোর হাসি) পেলে তো ভালই হয়। (একটু থেমে) সম্পর্ক নিয়ে সুপার সিরিয়াস না হলে সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। বাড়িতে ডিনার টেবিলে সব কিছু নিয়ে আলোচনা হয়। তাই আমার লুকোনোর কিছু নেই।

প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি খুব বেশি মেলামেশা করেন না বলেই কি এত আলোচনা হয়?

উ: হয়তো তাই। আমার স্টাইলিস্ট আমাকে ‘কী কী রে’ বলে ডাকে। মানে কী করে এত কিছু করি! ওকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ঋতাভরী এত কিছু কী করে করছে? লোকে গসিপ করুক। আই হ্যাভ অ্যান ইন্টারেস্টিং লাইফ... (হাসি)!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE