মোবাইল ফোন এবং ওয়াইফাই। দু’জায়গাতেই ৫জি ব্যবহার করেন বহু মানুষ। তাঁদের অনেকের মধ্যেই এই দু’টিকে এক বিষয় বলে গুলিয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে। বাস্তবে কিন্তু মোবাইল ফোন এবং ওয়াইফাইয়ের ৫জির মধ্যে পার্থক্য বিরাট। একটি হল এক ধরনের রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি। অপরটিকে পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে।
ওয়াইফাইয়ের ৫জি প্রকৃতপক্ষে পাঁচ গিগাহার্ৎজ়ের একটি ব্যান্ড। এটা এক ধরনের রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি। রাউটারের মাধ্যমে যাকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে ওই ডিভাইসগুলিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন তাঁরা।
ওয়াইফাইয়ের ৫জি ব্যবহারে ইন্টারনেটের গতি থাকে যথেষ্ট বেশি। সেটা সর্বোচ্চ ১ জিবি পিপিএস বা তার চেয়ে সামান্য বেশি হতে পারে। তবে এর পরিসর কম। রাউটার যেখানে থাকবে, তার আশপাশের এলাকায় পাওয়া যাবে এই ৫জি পরিষেবা। একটু দূরে গেলেই ওই ইন্টারনেটের সুবিধা আর পান না গ্রাহক।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে মোবাইল ফোনের ৫জি হল একটা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক। মোবাইল টাওয়ার এবং সিম কার্ডের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে এর সুবিধা পেয়ে থাকেন গ্রাহক। এতে একটা শহর বা বিরাট এলাকা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে রাউটারের ৫জির নিরিখে এর গতি থাকে অনেকটাই কম।