Advertisement
E-Paper

বিয়েবাড়ি বা শুটিংয়ে ব্যবহৃত ড্রোন কতটা বিপজ্জনক? নাশকতার আশঙ্কা কতটা? ডিজিসিএ-র নিয়মই বা কী?

বর্তমান সময়ে অনলাইনে বা হাটে-বাজারে কিনতে পাওয়া যায় ড্রোন। সেগুলি আকছার ব্যবহার হয় বিয়েবাড়ি বা সিনেমার শুটিংয়ে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মানববিহীন উড়ুক্কু যানগুলি কতটা বিপজ্জনক?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১৬:০০
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

বিয়েবাড়ি বা সিনেমার শুটিংয়ে ব্যবহৃত ড্রোন কতটা বিপজ্জনক? ওই মানববিহীন উড়ুক্কু যান দিয়ে কোনও নাশকতা ঘটানো কি আদৌ সম্ভব? ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠে গিয়েছে এই প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে ভারতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম। আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।

বিয়ের অনুষ্ঠান বা সিনেমার শুটিংয়ে যে ড্রোন ব্যবহার হয়, তা অতি সহজেই বাজার থেকে কিনতে পারে আমজনতা। অনলাইনেও এই ধরনের উড়ুক্কু যানগুলি ঢালাও বিক্রি হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা ড্রোনের থেকে অবশ্য সেগুলি অনেকটাই আলাদা। তা সত্ত্বেও হাটে-বাজারে বিক্রি হওয়া উড়ুক্কু যানকে বিপজ্জনক বলেই উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সেগুলি ব্যবহার করে ছোটখাটো নাশকতা ঘটানো একেবারেই অসম্ভব নয়।

দেশের ভিতরে কোনও এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই গাইডলাইনে, কী ধরনের উড়ুক্কু যান কোথায় এবং কত উচ্চতায় ওড়ানো যাবে, তা স্পষ্ট করে বলা রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম বসিয়েছে সরকার। তার মধ্যে রয়েছে ফৌজি ছাউনি, বিমানবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর। এই ধরনের এলাকার উপর ড্রোনে নজরদারি বেআইনি। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গ্রেফতার পর্যন্ত হতে পারেন।

তবে অসমারিক ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। কারণ, সেগুলিতে রয়েছে অটোপাইলট এবং জিপিএসের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট যানগুলির ক্যামেরা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আকারে এগুলি খুব ছোট হওয়ায় তা সহজে রেডারে ধরা পড়ে না। তাই অসামরিক ড্রোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে আরও কড়া আইন তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ডিজিসিএ।

সাবেক ফৌজি অফিসারদের কথায়, অসামরিক ড্রোনের গায়ে বিস্ফোরক বেঁধে ওড়ানো মোটেই কঠিন নয়। পাশাপাশি, মাদক ও ছোট হাতিয়ার পাচারের জন্য এগুলিকে বহুল পরিমাণে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। গত কয়েক বছরে সীমান্তে এই ধরনের বহু ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স)। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Drone Directorate General of Civil Aviation (DGCA) Drone Warfare
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy