প্রায় প্রতিটা মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়িতে ফ্রিজ থাকবেই। এক বার কিনলে খাবার ঠান্ডা রাখার এই যন্ত্রটিকে কিন্তু অনায়াসেই বহু বছর ব্যবহার করা যায়। সমস্যা হল যত্নের অভাবে অনেক বাড়িতে খুব দ্রুত খারাপ হয়ে যায় ফ্রিজ়। একটু নজর দিলে এটা এড়াতে পারবেন গৃহকর্তা বা কর্ত্রী। ফ্রিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার তেমনই পাঁচটা সহজ টিপস তুলে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।
প্রথমত, অনেকেরই ফ্রিজের দরজায় বেশি বেশি করে খাবার রাখার প্রবণতা রয়েছে। এতে কিছু দিন ব্যবহার করার পর যন্ত্রটির দরজা ঝুলে যেতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ওজন সহ্য করতে না পেরে দরজার গায়ে সেঁটে থাকা রাবার দ্রুত খারাপ হতে থাকে। দরজার রাবার খারাপ হয়ে গেলে বা দরজা ঝুলে গেলে চট করে ফ্রিজ ঠান্ডা হতে চায় না। তখনই ভিতরের খাবারকে ঠান্ডা রাখতে কম্প্রেসারে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে ‘অকালমৃত্যু’ ঘটে ফ্রিজের।
দ্বিতীয়ত, সময়মতো ডিপফ্রস্ট (ফ্রিজের ভিতরে বরফ জমানো) করা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে বাজারে এমন কিছু ফ্রিজ রয়েছে, যেগুলিতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি সময় অন্তর ডিপফ্রস্ট হয়ে যায়। এটা না করলে ফ্রিজে একটা অদ্ভুত সমস্যা দেখা দেয়। তা হল, বরফ বেশি থাকা সত্ত্বেও এর ভিতরের খাবার ঠান্ডা হতে চায় না। তখনই অতিরিক্ত সময় ধরে কম্প্রেসারকে কাজ করতে হয়। এর জন্য বিদ্যুতের বিলও বেশি আসতে পারে।
তৃতীয়ত, ফ্রিজে কখনওই গরম খাবার রাখা উচিত নয়। যন্ত্রটির স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জন্য একে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়ে থাকে। খাবার গরম থাকলে প্রথমে তাঁকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে দিতে হবে। এর পর একে ফ্রিজে রাখতে পারেন ব্যবহারকারী।
আরও পড়ুন:
চতুর্থত, রেফ্রিজ়ারেটরে কখনই ঠুসে খাবার রাখা উচিত নয়। এতে যন্ত্রটির ভিতর থেকে গরম হাওয়া বেরিয়ে যাওয়ার জায়গাগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন ফ্রিজের ভিতরেই পাক খেতে থাকে গরম হওয়া।
পঞ্চমত, ঘরের যেখানে সরাসরি রোদ আসে বা তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে, সেখানে রেফ্রিজ়ারেটর না রাখাই ভাল।