বেড়েছে দাম, কিন্তু তা সত্ত্বেও সস্তা হল আইফোন ১৭। অ্যাপ্লের মুঠোবন্দি ডিভাইসটির ক্ষেত্রে সেটাই বলছে অঙ্কের জটিল হিসাব। ফলে উৎসবের মরসুমে সংশ্লিষ্ট ফোনটি বাজারে ঝড় তুলবে বলে বেশ আশাবাদী নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট। আইফোন ১৬-র সঙ্গে কোথায় এর পার্থক্য? বদলেছে কী কী ফিচার? জল্পনার মধ্যেই এ বার তার হদিস দিল আনন্দবাজার ডট কম।
আইফোন ১৬তে ছিল ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৬০ হার্জ় রিফ্রেশ রেট এবং ২০০ নিট্স স্পিড ব্রাইটনেস। এই তিনটি ফিচারই বদলেছে অ্যাপ্লের নতুন সিরিজ়ে। আইফোন ১৭তে ৬.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৩০০ নিট্স স্পিড ব্রাইটনেস এবং ১২০ হার্জ় রিফ্রেশ রেট পাবেন গ্রাহক। আগের ফোনটিতে এ-৮ বায়োনিক প্রসেসার ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে এ বার এ-৯ করেছে নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট।
আইফোন ১৬-র পিছনের দিকের ক্যামেরাটি ছিল ৪৮ প্লাস ১২ মেগাপিক্সলের। এ ছাড়া ১২ মেগাপিক্সলের একটি সেলফি ক্যামেরাও দিয়েছিল অ্যাপ্ল। আইফোন ১৭-র ক্ষেত্রে পিছনের দিকের ক্যামেরাটি ৪৮ প্লাস ৪৮ এবং সামনের সেলফি ক্যামেরাটি ১৮ মেগাপিক্সলের করেছে অ্যাপ্ল। ফলে নতুন ফোনটিতে ব্যবহারকারীরা যে আরও ভাল এবং দুর্দান্ত ছবি তুলতে পারবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মার্কিন টেক জায়ান্টটি জানিয়েছে, ১৬-র তুলনায় আইফোন ১৭-র ব্যাটারি বেশি শক্তিশালী। এর চার্জিং স্পিড সাধারণ ভাবে ৩০ ওয়াট রেখেছে তার। যদিও ম্যাক্স সিরিজ়ের ফোনগুলির ক্ষেত্রে সেটা ২০ থেকে ২৫ ওয়াট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আইফোন ১৭-র ওজন কমিয়েছে অ্যাপ্ল। ১৬ সিরিজ়ের মুঠোবন্দি ডিভাইসগুলির ওজন ছিল ১৭৭ গ্রাম। সেটি ১৭০-এ নামিয়ে এনেছে সংশ্লিষ্ট মার্কিন টেক জায়ান্ট।
আইফোন ১৬-র ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ছিল ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা। কিন্তু এ বার আইফোন ১৭-র ২৫৬ জিবির দাম ৮২ হাজার ৯০০ টাকা করেছে অ্যাপ্ল। অর্থাৎ এই মডেলটির ক্ষেত্রে সাত হাজার টাকা কমেছে দাম। ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও সস্তা হয়েছে আইফোন। এত দিন আমেরিকায় ১৬ সিরিজ়ের ১২৮ জিবির ফোন বিক্রি হচ্ছিল ৭৯৯ ডলারে। এ বার সমপরিমাণ অর্থ খরচ করে আইফোন ১৭-র ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্ট কিনতে পারবেন সেখানকার বাসিন্দারা। এককথায় স্টোরেজ বাড়লেও ‘সুপার পাওয়ার’ দেশটিতে আইফোনের দামে হয়নি কোনও হেরফের।