আর লাখ লাখ টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক লেন্স কেনা নয়। ক্যামেরার সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে চিনা স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থা ভিভো! তাদের তৈরি ‘এক্স৩০০-প্রো’ মডেলের মুঠোবন্দি ডিভাইস দিয়েও দিব্যি ফ্রেমবন্দি করা যাচ্ছে বহু দূরের কোনও বন্যপ্রাণী বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে। এই মোবাইল ফোনে তোলা ছবি ডিএসএলআর ক্যামেরার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়, বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
ডিএসএলআর অর্থাৎ ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স। এই ক্যামেরাগুলিকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বন্যপ্রাণ ছবিশিকারিরা। কারণ, বিভিন্ন ধরনের লেন্স ব্যবহারের সুযোগ থাকায় এর সাহায্যে খুব সহজেই বহু দূরের কোনও প্রাণী বা বস্তুকে ফ্রেমবন্দি করে ফেলতে পারেন তাঁরা। এত দিন মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছিল না সেই সুবিধা। আর তাই মুঠোবন্দি ডিভাইস কখনওই ডিএসএলআরের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে না বলেই মনে করা হয়েছিল।
কিন্তু, সেখানেই এ বার বিপ্লব ঘটিয়েছে ভিভো। ‘এক্স৩০০ প্রো’ মডেলটির সঙ্গে লেজুড় হিসাবে একটি অতিরিক্ত লেন্স দিচ্ছে তারা। মোবাইল ফোনের ক্যামেরার সঙ্গে লেন্সটিকে জুড়ে নিলেই একরকম ডিএসএলআরের মতো ছবি তুলে দিচ্ছে ওই মুঠোবন্দি ডিভাইস। চিনা সংস্থাটি যার নাম দিয়েছে ‘এক্সটেন্ডার কিট’। এর সাহায্যে দূরের জিনিসকে দিব্যি জ়ুম করে ফ্রেমে আটকে ফেলতে পারছেন ব্যবহারকারী।
আরও পড়ুন:
ভিভো এই ফ্ল্যাগশিপ ফোন আনার আগেই ডিএসএলআর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জাপানি বহুজাতিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা সোনির ক্যামেরা বিভাগের শীর্ষকর্তা। তাঁর দাবি, কৃত্রিম মেধার যুগে যে ভাবে মোবাইল ফোন ছবির সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে, তাতে অচিরেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে লম্বা লম্বা লেন্সের ডিএসএলআর। ২০২৮ সালের মধ্যেই নাকি তেমনটা ঘটতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সত্যিই কি তাই? উত্তর দেবে সময়।