Advertisement
E-Paper

ব্রহ্মপুত্রের বুকে ভেসেই দর্শন হবে কামাখ্যা থেকে উমানন্দ মন্দির, জলপথে জুড়ছে অসমের সাত দেবস্থান

অসমের সাত মন্দির জুড়়ছে জলপথে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুত কাজও শুরু হবে। অদূর ভবিষ্যতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে ভেসে সাত মন্দির দর্শন করতে পারবেন পর্যটকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৭
অসমের কামাখ্যা মন্দির।

অসমের কামাখ্যা মন্দির। ছবি: সংগৃহীত।

অদূর ভবিষ্যতে কামাখ্যা দর্শনের সুযোগ মিলবে জলপথে। ব্রহ্মপুত্র নদই জুড়বে অসমের সাত মন্দিরকে। পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। অপেক্ষা শুধু বাস্তবায়নের। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পর্যটকের কাছে তা হবে বিশেষ পাওয়া। ব্রহ্মপুত্রের বুকে ভেসেই একে একে দর্শন করা যাবে সাত-সাতটি মন্দির।

ব্রহ্মপুত্র জুড়বে সাত মন্দিরকে।  জলপথে যাত্রী  পররিবহণের পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে অসমে।

ব্রহ্মপুত্র জুড়বে সাত মন্দিরকে। জলপথে যাত্রী পররিবহণের পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে অসমে। ছবি: সংগৃহীত।

অসম সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জলপথের সম্প্রসারণ এবং পরিবহণ কাঠামো তৈরিতে বন্দর, জাহাজ এবং জলপথ মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সূত্রে খবর, সাগরমালা প্রকল্পে অসমের সাত মন্দির ব্রহ্মপুত্রের দ্বারা জলপথে জুড়তে চলেছে। এ জন্য খরচ পড়বে ৬৪৫.৫৬ কোটি টাকা।

কোন সাত মন্দির থাকবে সেই তালিকায়?

কামাখ্যা: অসমে প্রতি বছর শুধু পর্যটকেরা নন, অসংখ্য পুণ্যার্থী আসেন কামাখ্যা দর্শনে। ‘পীঠনির্ণয় তন্ত্র’ অনুযায়ী, ৫১ শক্তিপীঠের একটি হল কামাখ্যা। অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ের কোলে তার অবস্থান। অম্বুবাচীতে এখানে বিশেষ উৎসব হয়। সেই সময় এখানে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। কামাখ্যা তন্ত্রচর্চারও পীঠস্থান। জানা যায়, মন্দিরটি অহোম রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত। চূড়ার স্থাপত্যশৈলী নিম্ন অসমের মন্দির স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।

পাণ্ডুনাথ মন্দির: তিলা পাহাড়ে রয়েছে পাণ্ডুনাথ মন্দির। মহাভারতের পাণ্ডবদের থেকেই এই নামকরণ। পাণ্ডবদের প্রতিভূ হিসাবে এখানে রয়েছে পাঁচ গণেশমূর্তি। কথিত, পাণ্ডবরা এখানে ছদ্মবেশে লুকিয়ে ছিলেন।

অশ্বক্রান্ত মন্দির: অসমের বহু পুরনো মন্দিরটির আরাধ্য কৃষ্ণ। রাজা শিব সিংহের হাতে এটি নির্মিত। কথিত আছে, কৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করার সময় তাঁর অশ্বেরা এখানে বিশ্রাম নিয়েছিল। তাই অনেকে বলেন, এই মন্দিরের নাম ‘অশ্বক্লান্ত’। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এই মন্দিরে জনার্দন এবং অনন্তশায়ী বিষ্ণুর মূর্তি রয়েছে।

দোল গোবিন্দ মন্দির: চন্দ্রভারতী পাহাড়ে অবস্থিত দোল গোবিন্দ মন্দিরটি। কৃষ্ণের পুজো হয় এখানে। ১৫০ বছরের পুরনো এই মন্দিরটিকে নবরূপ দেওয়া হয় ১৯৬৬ সালে। এখানে ধূমধাম করে দোলোৎসব হয়।

উমানন্দ মন্দির: ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে থাকা পাহাড়ি দ্বীপ উমানন্দ। সেখানে আছে শিবের মন্দির। নৌকা করেই এই মন্দিরে যেতে হয়। কথিত আছে, কামাখ্যায় দেবীর পুজোর পরে উমানন্দে ভৈরবকেও পুজো করতে হয়। মন্দির থেকে দৃশ্যমান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ উপভোগ্য। ব্রহ্মপুত্রের রূপ দর্শন করা যায় এখান থেকে।

চক্রেশ্বর মন্দির: অসমের আর একটি মন্দির হল চক্রেশ্বর মন্দির। এখানকার আরাধ্য দেবতা শিব। ব্রহ্মপুত্র নদের ধারেই এই মন্দিরটি।

আউনিয়াতি সত্র: শোনা যায় অহোম রাজা জয়ধ্বজ সিংহ ব্রহ্মপুত্রের বুকে মাজুলি দ্বীপে এই মঠ তথা সত্রটি নির্মাণ করান। ভিতরে রয়েছে কৃষ্ণমূর্তি।

Travel Assam Kamakhya Temple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy