বিমান সফরের ক্ষেত্রে এখন ‘এয়ারপোর্ট লুক’ চর্চিত। সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে তারকা, বিমানবন্দরে তোলা ছবি ঘিরে কৌতূহলও তৈরি হয় সমাজমাধ্যমে। কিন্তু বিমান সফর সাজগোজ শুধুমাত্র স্টাইলের জন্য নয়। বিমান সফর আরামদায়ক করে তোলার নেপথ্যেও পোশাক পরিকল্পনা দায়ী। ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শদাতাদের মতে, সঠিক পোশাকের পরিকল্পনা বিমান সফরকে যাত্রীর জন্য আরামদায়ক করে তুলতে পারে। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি পরামর্শ কাজে আসতে পারে—
আরও পড়ুন:
১) বিমানের অন্দরে বাতাসের চাপ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তাই স্বল্প দৈর্ঘ্যের বা দীর্ঘ উড়ান— উভয় ক্ষেত্রেই পরনে যেন আরামদায়ক পোশাক থাকে, তা খেয়াল রাখা উচিত।
২) বিমানের আসনে বসার জায়গা বেশ ছোট। তাই খুব ভারী জ্যাকেট বা পোশাক পরলে নড়াচড়া করতে অসুবিধা হতে পারে। তার ফলে দীর্ঘ উড়ানে দেহে ব্যথা শুরু হতে পারে।
৩) বিমানে হাত ঢাকা পোশাক পরলে সুবিধা হয়। জায়গা ছোট হওয়ার জন্য তা অনেক সময়েই জল বা কফির মতো কোনও পানীয় গায়ে চলকে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৪) বিমানে সুতি বা পশমের পোশাক পরতে পারলে ভাল হয়। এক দিকে এই ধরনের পোশাক বিমানের অন্দরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সাহায্য করে। পাশাপাশি খুব ঠান্ডায় তা দেহকে রক্ষা করে।
৫) সারা রাতের বিমান সফরে সঙ্গে হালকা কোনও চাদর রাখলে সুবিধা হবে। অনেক সময়েই উচ্চতায় বিমানের অন্দরের তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন সঙ্গে চাদর থাকলে ঘুমের সুবিধা হবে।
৬) বেশি উচ্চতায় দীর্ঘ ক্ষণ থাকলে, অনেক সময়েই পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে। কারণ বিমানে পা বিশেষ ছড়িয়ে বসা কষ্টকর। তাই বুট জুতো বা উঁচু হিলের জুতোর পরিবর্তে সহজেই খোলা যাবে, এ রকম কোনও জুতো পরা যেতে পারে। পায়ে ব্যথা হলে আসনে বসেই জুতো খুলে নিলে আরাম পাওয়া সম্ভব।
৭) বিমানে সফরের সময় সঙ্গে কোনও ভারী ব্যাগ বা অ্যাক্সেসরি রাখা উচিত নয়। অনেক সময়ে তা বিমানবন্দরে সুরক্ষা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেশি সময় নষ্ট করাতে পারে। আবার সঙ্গে বেশি জিনিসপত্র থাকলে বিমানে তা ফেলে আসারও আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে এমন ব্যাগ সঙ্গে রাখা উচিত, যার মধ্যে একাধিক জিনিস রাখা যায়।