‘চেক ইন’ করার সময়েও নিজের পছন্দের আসনটি বেছে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লন্তি দূর করতে অফিস থেকে দিন সাতেকের ছুটি নিয়েছেন? বেড়াতে যাওয়ার সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন? আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন এই ছুটিতে বিলাসিতার সঙ্গে কোনও রকম আপস করবেন না! তবে বিলাসবহুল হোটেল বুক করতে গিয়ে খরচ অনেকটাই বেশি হয়ে গিয়েছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট আর কাটা হল না! চিন্তা নেই কয়েকটি ফন্দি-ফিকির জানলেই ইকনমি ক্লাসে যাত্রা করেও ভোগ করতে পারেন বিজনেস ক্লাসের অনুভূতি। ভাবছেন এ কী করে সম্ভব?
১) বিমানের ‘এক্সিট রো’-তে আসন বুক করুন: এ ক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকেই বুকিং সারতে হবে। এর জন্য দিতে হতে পারে কিছুটা বাড়তি টাকাও। তা ছাড়া ‘চেক ইন’ করার সময়েও নিজের পছন্দের আসনটি বেছে নিতে পারেন। বিমানে যাত্রার সময়ে পা বেশি ছড়ানো যায় না বলে অনকেরই অভিযোগ থাকে। বিমানের গেটে ওঠার মুখেই যে আসনগুলি থাকে, সেই সিটগুলির সামনে অনেকটা বাড়তি জায়গা থাকে। তাই পা ছড়িয়ে বসতে কোনও সমস্যা হয় না।
২) ‘স্লিপিং মাস্ক’ নিতে ভুলবেন না: বিমান যাত্রার সময়ে অনেকেই ‘স্লিপিং মাস্ক’ নিতে ভুলে যান। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে এই ভুল করলে আপশোসের শেষ থাকে না। বিমানে অনেকের ঘুম আসতে চায় না। সে ক্ষেত্রে একটি ‘স্লিপিং মাস্ক’ ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।
৩) বিমানে ওঠার আগেই পছন্দের খাবারটি কিনে নিন: বিমানের খাবারের স্বাদ বেশির ভাগ সময়েই ভাল থাকে না। বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করলে যে মানের খাবার পাওয়া য়ায়। ইকনমি ক্লাসের ক্ষেত্রে তা নয়। তা ছাড়া, বিমানে যে কোনও খাবারের দাম থাকে আকাশ ছোঁয়া। তাই বিমানে ওঠার আগে নিজের পছন্দের খাবারটি কিনে নেওয়াই শ্রেয়। তবে আপনি যে বিমানে যাত্রা করবেন, তাতে খাবার নিয়ে ওঠা যাবে কি না তা অবশ্যই জেনে নেবেন।
৪) পোশাকের স্বচ্ছন্দের সঙ্গে আপোস নয়: দীর্ঘ ক্ষণের বিমানযাত্রার সময়ে ঢিলেঢালা পাজামা আর টি-শার্ট পরাই ভাল। বিমান যাত্রার সময়ে জিন্স না পরাই ভাল। ঢিলেঢালা পোশাকে মিলবে আরাম।
৫) ‘নেক পিলো’ অবশ্যই সঙ্গে রাখুন: বিমানযাত্রার সময়ে সঙ্গে ‘নেক পিলো’ রাখতে ভুলবেন না যেন। নইলে ঘুমনোর সময়ে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এটি সঙ্গে রাখলে কিন্তু আপনার ট্রলিটির বোঝা মোটেই বাড়বে না। হ্যান্ডব্যাগের সঙ্গেই এটি ক্লিপ করে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy