Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Indian Railways

Indian Railways: ‌রেলের ওয়েটিং লিস্ট অনেক রকমের, প্রতিটির অর্থ আলাদা, কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনাও আলাদা

ট্রেনে সফরের জন্য সকলেই কনফার্ম টিকিট চান। না পেলে অগত্যা ওয়েটিং লিস্ট। কিন্তু তার ভাগগুলি না জানলে বোঝা যায় না কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২২ ১৯:৩৯
Share: Save:

দূরপাল্লার টিকিটে কনফার্ম আসন না মিললে ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকার কথা সবারই জানা। কিন্তু এই তালিকাতেও থাকে অনেক ভাগ। তার প্রতিটির আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। কোনও যাত্রী কোন স্টেশন থেকে টিকিট কাটছেন বা কোনও স্টেশন পর্যন্ত সফর করতে চান তার উপরেই নির্ভর করে কনফার্ম না হওয়া টিকিটি ওয়েটিং লিস্টের কোন ভাগে পড়বে। আবার কোন ধরনের ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে তার উপরেও নির্ভর করে সেটি কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কতটা।

ট্রেনের টিকিট কাটলে অনেকেই দেখে থাকবেন ওয়েটিং লিস্ট বোঝাতে ইংরেজিতে ডব্লুএল (WL) লেখা থাকে। যখন ট্রেনের সব আসন পূর্ণ হয়ে যায় তখন এই ধরনের টিকিট দেওয়া হয়। কতগুলি কনফার্ম টিকিট বাতিল হবে তার উপরে নির্ভর করে এই তালিকায় থাকা কতগুলি টিকিট কনফার্ম হবে। কোনও টিকিট কনফার্ম হলে রেল সেই টিকিটকে সিএনএফ (CNF) বলে চিহ্নিত করে।

জিএনডব্লুএল (GNWL): এটি সাধারণ ওয়েটিং লিস্ট। যে স্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করছে সেটি বা তার কাছাকাছি কোনও স্টেশন থেকে সফরের টিকিটটি এই তালিকাভুক্ত হয়। যে কোনও ট্রেনের ক্ষেত্রেই এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ওয়েটিং টিকিট থাকে এবং কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনাও তুলনায় বেশি।

পিকিউডব্লুএল (PQWL): এই ধরনের টিকিটকে বলা হয় পুলড কোটা ওয়েটিং লিস্ট। যখন কোনও দূরপাল্লার ট্রেন যেখান থেকে ছাড়বে সেখান থেকে মাঝপথের কোনও স্টেশন পর্যন্ত আসন সংরক্ষণ করা হয় তখন পুলড কোটার আওতায় ওয়েটিং লিস্ট হয়। আবার ট্রেনের যাত্রাপথের মধ্যবর্তী কোনও স্টেশন থেকে গন্তব্য পর্যন্ত যেতে হলেও এই তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে জেনারেল ওয়েটিং লিস্টের তুলনায় টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

আরএলডব্লুএল (RLWL): এই ধরনের টিকিটকে বলা হয় রিমোট লোকেশন ওয়েটিং লিস্ট। যে কোনও দূরপাল্লার ট্রেনেরই যাত্রাপথের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে রিমোট লোকেশন হিসাবে চিহ্নিত করা থাকে। এই সব লোকেশন বা স্টেশনের জন্য কিছু আসন সংরক্ষিত থাকে। আবার ট্রেনের যাত্রা শুরু ও গন্তব্য স্টেশনের মধ্যবর্তী দু’টি স্টেশনের মধ্যে সফর করতে হলেও এই তালিকাভূক্ত হতে হয়। তবে রিমোট লোকেশনের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা মোট আসনের তুলনায় খুবই কম। এমন টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। কারণ, ট্রেনের যাত্রা শুরুর স্টেশনের তুলনায় রিমোট লোকেশন থেকে কম যাত্রীই টিকিট কাটেন।

টিকিউডব্লিউএল (TQWL): তৎকাল কোটা ওয়েটিং লিস্টকে আগে সিকেডব্লিউএল (CKWL) বলা হত। তৎকাল টিকিটের মধ্যে যেগুলি ওয়েটিং লিস্টে থাকে সেগুলিকেই এই তালিকায় রাখা হয়। ওয়েটিং লিস্টের টিকিট প্রথমে আরএসি (RAC) হয় ও পরে কনফার্ম হয়। কিন্তু এই কোটার টিকিট আরএসি হয় না। তবে এই কোটার তুলনায় জেনারেল ওয়েটিং লিস্টের টিকিটকেই কনফার্ম করার ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেয় রেল।

আরএসডব্লুএল (RSWL): রোড সাইড ওয়েটিং লিস্ট। যখন কোনও ট্রেনের শুরুর স্টেশন থেকে যাত্রাপথের মধ্যবর্তী কোনও স্টেশনের টিকিট কাটা হয় তখন এই তালিকাভুক্ত হয়। এই রকম টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা আরএলডব্লিউএল-এর মতোই কম।

আরকিউডব্লিউএল (RQWL): যদি ট্রেনের যাত্রাপথের দু’টি মধ্যবর্তী স্টেশনের মধ্যে সফরের টিকিট কাটা হয় তবে এই রিকোয়েস্ট কোটা ওয়াটিং লিস্ট হয়। কোনও টিকিট যদি রেলের কোনও কোটাতেই ওয়েটিং লিস্টে জায়গা না পায় তখন এই তালিকায় আসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railways train IRCTC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE