Advertisement
E-Paper

শাস্তি দিতে পুত্রের পেটের উপর বসে পড়লেন ১৫৫ কেজির মা! মৃত্যু ১০ বছরের শিশুর

প্রায় ১৫৫ কেজি ওজনের চেহারা নিয়ে ছেলের পেটের উপর বসেছিলেন ৪৮ বছরের মহিলা। সেই চাপেই মারা যায় শিশুটি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১২:১২
mother allegedly sat on his son

ছবি: সংগৃহীত।

ছেলেকে শাস্তি দিতে গিয়ে ১০ বছরের ছেলের প্রাণই কেড়ে নিলেন মা। প্রায় ১৫৫ কেজি ওজনের চেহারা নিয়ে ছেলের পেটের উপর বসেছিলেন ৪৮ বছরের মহিলা। সেই চাপেই মারা যায় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছিল ইন্ডিয়ানায়, গত বছরের এপ্রিলে। অভিযুক্তের নাম জেনিফার লি উইলসন। নিজের ভারী শরীর নিয়ে ছেলের উপর কয়েক মিনিট বসে ছিলেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ছেলেটি বাড়ি থেকে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে প্রতিবেশীর বাড়িতে খুঁজে পান তার মা। সেই অপরাধের শাস্তি হিসাবে এই কাণ্ড ঘটান তিনি।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫শে এপ্রিল, ভালপারাইসোর একটি বাড়ি থেকে পুলিশের কাছে ফোন যায়। তাদের জানানো হয় যে ডাকোটা লেভি স্টিভেন্স নামের একটি শিশু শ্বাস নিচ্ছে না এবং তার নাড়ির গতিও পাওয়া যাচ্ছে না।

পুলিশ অফিসার যখন সেখানে উপস্থিত হন তখন তিনি শিশুটির ঘাড়ের নীচের অংশ এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তারা ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই সে মারা যায়। হাসপাতাল জানিয়েছে যে শিশুটির অঙ্গের নরম টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, লিভার ও ফুসফুসে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং আঘাতের কারণে সে মারা গিয়েছে।

মামলা দায়ের করার পর আদালতে জেনিফার বলেন, ঘটনার দিন তাঁর ছেলে বার বার বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দু’জনেই মাটিতে পড়ে যান। ছেলেকে ধরে রাখতে তার পেটের মাঝখানে প্রায় পাঁচ মিনিট বসে ছিলেন জেনিফার। অবশেষে ডাকোটা নড়াচড়া বন্ধ করার পর তিনি উঠে বসেন। কিন্তু জেনিফার ভেবেছিলেন ডাকোটা নিঃস্পন্দ হওয়ার ভান করছে। তাকে উল্টে দিতে তার মা লক্ষ্য করেন ছেলের চোখের পাতা ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। উইলসন তার পর সিপিআর শুরু করেন এবং পুলিশে খবর দেন। জানুয়ারিতে জেনিফারের বিরুদ্ধে ৬ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।

america
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy