ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনায় মন ছিল না ছেলের। মা চেয়েছিলেন বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জীবনের পাঠ নিক সে। তাই একটি ভাজাভুজির দোকানে কাজ করতে পাঠিয়ে দেন ছেলেকে। ছেলেও নিরাশ করেনি মাকে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ১০ হাজার ইউয়ান বা ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ টাকার বেশি উপার্জন করে মায়ের হাতে তুলে দেয়। এর পর সে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিনের বাসিন্দা শেন নামের ১৭ বছরের ওই কিশোর মায়ের কথায় প্রভাবিত হয়েছিল। তার মা চেয়েছিলেন কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের কঠিন ও বাস্তব পরিস্থিতির জন্য ছেলেকে তৈরি করতে। এই জন্য তাকে ভাজাভুজি বিক্রি করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
শেনের মা দেং তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝেজিয়াং প্রদেশের জিয়াক্সিংয়ে একটি রাস্তার স্টলে ভাজা মুরগি বিক্রি করেন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে, ছেলেকে কাজের পরিবেশের বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করালেই পুঁথিগত শিক্ষার বদলে আসল শিক্ষা নিতে আগ্রহী হবে সে। তাই দেংয়ের কাছে তাঁর ছেলে যখন রান্নার স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে, তখনই তিনি শেনকে বাস্তব জীবনের বাধা মোকাবিলা করে অর্থ উপার্জনের নির্দেশ দেন।
দেংয়ের নির্দেশ মতো শেন একটি বৈদ্যুতিক বাইককে জলখাবারের স্টলে রূপান্তরিত করে এবং তার মাকে অবাক করে দিয়ে অবিলম্বে কাজ শুরু করে। শেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, সে প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাবার তৈরি করতে শুরু করত। ১৩ কিমি পথ পেরিয়ে খাবারের স্টল খুলে সারা সন্ধ্যা ও রাতে ব্যবসা করে, রাত ৩টেয় বাড়ি ফিরত। দেং জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের আপাতত লক্ষ্য একটি বৈদ্যুতিক সাইকেল কেনা। তার জন্য ব্যবসা থেকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy