দোকানে ডাকাতি করতে এসে বৃদ্ধ মালিকের হাতে কামড়ে দিয়ে পালিয়েছিল এক ডাকাত। সামান্য ক্ষত বলে অবহেলা করেছিলেন ৬০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ। কামড়ের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাস পর সেই ক্ষত বিষিয়ে প্রাণসংশয় হল তাঁর। হাত ফুলে ঢোল হয়ে যায়। চিকিৎসকের কাছে দৌড়ে যেতেই তিনি জানান, ক্ষত বিষিয়ে মারাত্মক হয়ে গিয়েছে। পচন আটকাতে হাত কেটে ফেলতে হতে পারে।
আরও পড়ুন:
ঘটনাটি তুরস্কের, এক বছর আগে ঘটেছিল। সম্প্রতি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি পত্রিকায় ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর সেখানকার সংবাদমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরির উদ্দেশ্যে দুই ব্যক্তি দোকানে প্রবেশ করে। মালিক তাদের মুখোমুখি হলে হাতাহাতি শুরু হয়। পালানোর সময় এক ডাকাত ওই বৃদ্ধের হাতে এত জোরে কামড় দেয় যে একটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়। প্রাথমিক ভাবে, স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আঘাতটিকে সামান্য বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বৃদ্ধ দোকানিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়ে সুস্থ বলে মনে হলেও তিন মাস পর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন:
প্রচণ্ড জ্বর, কাঁপুনি এবং হাতে ব্যথা শুরু হয়। ত্বকের রংও বদলে যায়। চিকিৎসকেরা জানান, কামড় থেকে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে হাতে। প্রথাগত চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় চিকিৎসকেরা বিশেষ অক্সিজেন থেরাপি ব্যবহার করে তাঁর হাতটিকে অক্ষত রাখেন। এ ছাড়াও তিন মাস ধরে ফিজ়িয়োথেরাপি করার পর হাতটি সচল হয় বৃদ্ধের। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র কুকুর বা বিড়াল নয়, মানুষের কামড়ের ফলে এই ধরনের মারাত্মক প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে। ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া সরাসরি রক্তে ঢুকে যায়। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তা উপেক্ষা না করাই উচিত নয় বলে মত তাঁদের। পরবর্তী কালে গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে।