ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় যে, শিক্ষকেরা আমাদের গুরু এবং সব সময় তাঁদের সম্মান করা উচিত। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন শিক্ষকদের কথাও শুনতে পাওয়া যায় যাঁদের কাণ্ডকারখানা চমকে দেয়। সে রকমই এক অধ্যাপকের খোঁজ এ বার মিলল চিনে। তাঁর কাণ্ড শুনে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন অধ্যাপকের হাতে সন্তানকে সঁপে দেওয়া কি সত্যিই নিরাপদ! কিন্তু কী করেছেন চিনের ওই অধ্যাপক? কোন কাজ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি?
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের শানডংয়ের লিয়াওচেং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডংচাং কলেজের ওই অধ্যাপকের নাম উ। গত আট বছর ধরে তিনি ডংচাং কলেজে অর্থনীতি নিয়ে অধ্যাপনা করেছেন। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, উয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লেখা একটি বেনামি চিঠি হাতে এসেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের। সেখানেই অধ্যাপকের কুকীর্তির কথা লেখা ছিল।
আরও পড়ুন:
ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, বয়স, পেশা এবং পরিবার নিয়ে ভুরি ভুরি মিথ্যা বলে বেড়িয়েছেন উ। আসল বয়স গোপন করে কলেজের অনেক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করেছেন। শুধু নিজের কলেজেরই নয়, অন্যান্য কলেজেরও জনা দশেক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় এবং বয়স লুকিয়ে ‘প্রেম প্রেম খেলা’ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে গর্ভপাত করাতেও নাকি বাধ্য করেন উ। সেই বেনামি চিঠি হাতে পেয়েই চমতে যান কলেজ কর্তৃপক্ষ। উয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ার পর ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। উকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও খবর।
আরও পড়ুন:
কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে যে, উ কেবল স্কুলের নিয়ম লঙ্ঘন করেনি, সমাজকেও ভুল বার্তা দিয়েছেন। ফলস্বরূপ, কলেজ তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি যাতে অন্য কোথাও পড়াতে না পারেন, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। উয়ের ঘটনা সমাজমাধ্যমেও আলোড়ন তুলেছে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।