Advertisement
E-Paper

সাঙ্কেতিক মেসেজ, ব্যাটারি না অন্য কোনও যন্ত্র? লেবাননের পেজার বিস্ফোরণের বীজ কোথায় লুকিয়ে? উঠছে নানা দাবি

পেজার হামলার নেপথ্যে ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদকেই কাঠগড়ায় তুলেছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। হিজ়বুল্লার দাবি, গোপনে ওই যোগাযোগ যন্ত্রের মধ্যে বিস্ফোরক পুরে দিয়েছিল মোসাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬
How did Pagers get exploded in Lebanon, what are the claims

—প্রতীকী ছবি।

কী ভাবে একসঙ্গে এতগুলো পেজারে বিস্ফোরণ হল? লেবানন এবং সিরিয়ার বিস্ফোরণের আবহে এই প্রশ্নই উঠে আসছে বার বার। উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব, অনেক জল্পনা। মঙ্গলবার একের পর এক পেজার বিস্ফোরণে বিপর্যস্ত লেবানন। একই সঙ্গে সিরিয়াতেও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত এগারো জনের। আহতের সংখ্যা চার হাজার ছুঁইছুঁই। চারপাশে শুধুই স্বজনহারাদের হাহাকার। হাসপাতালগুলোতে তিলধারণের জায়গা নেই।

পেজার হামলার নেপথ্যে ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদকেই কাঠগড়ায় তুলেছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। হিজ়বুল্লার দাবি, গোপনে ওই যোগাযোগ যন্ত্রের মধ্যে বিস্ফোরক পুরে দিয়েছিল মোসাদ। আর তা থেকেই বিস্ফোরণ। লেবানন এবং সিরিয়ায় একের পর এক পেজার বিস্ফোরণ হতে থাকে। অনেকগুলি পেজারে মোটামুটি একই সময়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে?

লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পেজারগুলিতে একই সময়ে একটি বিশেষ সাঙ্কেতিক বার্তা পাঠানো হয়েছিল। আর সেই মেসেজ খুলতেই পেজারের ভিতরের বিস্ফোরক সক্রিয় হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রটি রয়টার্সকে বলেছে, ‘‘পেজারের ভিতরে যে যান্ত্রিক বোর্ড মেসেজ গ্রহণের কাজে ব্যবহৃত হয়, সেখানে বিস্ফোরক ভরেছিল মোসাদ। সেই বিস্ফোরক শনাক্ত করা খুব কঠিন। এমনকি, কোনও স্ক্যানারেও ওই বিস্ফোরক ধরা পড়ে না।’’ অন্য দিকে, সংবাদমাধ্যম ‘স্কাই নিউজ় আরাবিয়া’র সঙ্গে কথা বলা হিজ়বুল্লা সূত্রের অভিযোগ, মোসাদ একটি উচ্চ বিস্ফোরক পদার্থ পেজারের ব্যাটারিতে ভরে দিয়েছিল এবং দূর থেকে ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আবার সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রতিটি পেজারে ২০ গ্রামেরও কম বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল।

কী ভাবে এবং কখন পেজারের ভিতরে বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বিস্ফোরক কী ভাবে সক্রিয় করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মধ্যেই এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত এই দাবিগুলি প্রকাশ্যে এসেছে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে পেজারগুলিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেগুলি নাকি তাইওয়ানের সংস্থা ‘গোল্ড অ্যাপোলো’ থেকে আনানো। মোট পাঁচ হাজার পেজার নাকি তাইওয়ান থেকে আনানো হয়েছিল। যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পেজারগুলি তাঁদের তরফে পাঠানো হয়নি। অন্য দিকে, এই হামলা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি ইজ়রায়েলও।

Explosion Lebanon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy