—প্রতীকী চিত্র।
টেবলের উপর সার দিয়ে রাখা আছে লম্বাটে ভাঁড়। সেই ফাঁকা ভাঁড় অবশ্য মুহূর্তে ভরে উঠছে দুধসাদা পানীয়ে। তড়িৎ দু’টি হাত ঢেলে দিচ্ছেন সেই তরল। সব ভাঁড় ভরে যাওয়ার পরও হাত দু’টি ফিরে ফিরে আসছে ভাঁড়ের উপর। প্রতিবারই কিছু না কিছু দিয়ে যাচ্ছে ভাঁড়ে। রাজস্থানের আজমেড়ে এই পানীয় খেয়ে দীর্ঘ লাইনে কখনও সখনও ঘণ্টা খানেকও দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতারা। কিন্তু তার পরও বিরক্ত হন না। কারণ এমন লস্যি অন্য কোথাও নাকি পাওয়াই যায়না।
দাম ভাঁড় প্রতি ৫০ টাকা। আর এই দামে খাবার এবং পানী। দুই-ই নাকি পাওয়া যায়। দাবি ক্রেতাদের। কারণ এ লস্যি শুধু লস্যি নয়। এর সঙ্গে পাওয়া যায় রাবড়িও। সঙ্গে থাকে মালাই, কেশর এমনকি শুকনো ফলও।
দই দিয়ে তৈরি এই সরবৎ ভারতীয়দের অন্যতম পছন্দের পানীয়। গরম আবহাওয়ায় মন এবং শরীর জুড়োতে লস্যির জুড়ি মেলা ভার। এই লস্যি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাও কম হয় না। কোথাও লস্যিতে চকোলেট মিশিয়ে তৈরি হয় চকোলেট লস্যি। এ ভাবেই নানা স্বাদের মিলমিশে আম-স্ট্রবেরি-বাটারস্কচ-ভ্য়ানিলা লস্যিও পাওয়া যায়। আজমেঢ়ের এই দোকানে অবশ্য লস্যির স্বাদবর্ধনের জন্য খাস ভারতীয় মিষ্টি রাবড়ির শরণাপন্ন হয়েছে। দুধের সরের পরত জমিয়ে তৈরি গাঢ় লালচে রাবড়ি দেওয়া এই লস্যি চেখে দেখবেন কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy