Advertisement
E-Paper

৪০ লাখ খরচ করে আমেরিকা থেকে স্নাতকোত্তর করেও বেকার! ঋণের বোঝা নিয়ে দেশে ফিরলেন তরুণ

আমেরিকার কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তরুণ। এক বছর ধরে সেখানে চাকরি খুঁজেও কোনও লাভ হয়নি। থাকার খরচ চালানোর মতোও পয়সা ছিল না তরুণের কাছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১৬:১৯

—প্রতীকী ছবি।

শিক্ষাঋণ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন তরুণ। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি তাঁর। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর টানা এক বছর হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজেছিলেন তিনি। কিন্তু খরচ চালাতে না পেরে আবার ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ। নামপ্রকাশ না করে সমাজমাধ্যমে নেটাগরিকদের কাছ থেকে পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।

‘আর/ইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে নাম গোপন রেখে তরুণ লিখে জানিয়েছেন, কলেজ পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা করবেন বলে শিক্ষাঋণ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। তরুণের বাবার একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু তাঁর ব্যবসায় বহু দিন ধরে লোকসান চলছে। ধীরে ধীরে শরীরও খারাপ হতে শুরু করে তাঁর বাবার। আমেরিকার কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তরুণ। এক বছর ধরে সেখানে চাকরি খুঁজেও কোনও লাভ হয়নি।

থাকার খরচ চালানোর মতোও পয়সা ছিল না তরুণের কাছে। প্রতি মাসে তাঁর বাবা তরুণকে হাতখরচ পাঠাতেন। এক বছর পর তাঁর বাবার শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করার পর চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হয় তরুণকে। তিনি জানান, ভারতীয়দের জন্য আমেরিকায় চাকরির সুযোগ নেই। এমনকি সেখানকার আর্থিক মন্দা চলার কারণেও চাকরির অভাব ছিল। মাথায় ৪০ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তরুণ। কয়েক মাসের চেষ্টায় ভারতে চাকরি পেয়ে যান তিনি।

তরুণ জানান, প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি। কিন্তু প্রতি মাসে ঋণ শোধ করতে ৬৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায় তাঁর। মাত্র ৯ হাজার টাকা হাতে পড়ে থাকে তরুণের। তা দিয়েই সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন তরুণ। তিনি জানান, তাঁর বাবার ব্যবসা মোটামুটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে। তবে অন্য চাকরি খোঁজার চেষ্টা করছেন তরুণ। কী কী বিষয়ে পটু তা জানিয়ে নেটাগরিকদের কাছে চাকরির আবেদন করেছেন তরুণ।

Bizarre Job loss US Education Loan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy