দোকানের মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে গাঁজা। আর জনসমক্ষেই সেই দোকান থেকে গাঁজা কিনছেন ক্রেতারা। কেউ বাধা দিচ্ছেন না। পুলিশে ধরার ভয়ডরও নেই। তাইল্যান্ড গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গেলেন ভারতের এক ভ্লগারের বাবা। সেই দৃশ্য স্ত্রীকেও দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করে দেখাতেই স্ত্রীর থেকে অদ্ভুত জবাব পেলেন তিনি। কিন্তু প্রৌঢ়কে কী এমন বললেন তাঁর স্ত্রী? সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ক্যানাবিস স্যাতিভা। বিবিধ নেশার সামগ্রী তৈরি হয় পাহাড়ি এই গাছটির পাতা দিয়ে। গাঁজা, গঞ্জিকা, মারিজুয়ানা— বিভিন্ন নামে ডাকা হয় তাকে। মধ্য বা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা বহু শতাব্দী ধরে নেশার সামগ্রী এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ভারতে গাঁজার নেশা অবৈধ হলেও, তাইল্যান্ড-সহ বেশ কয়েকটি দেশে গাঁজার নেশা বৈধ হিসাবে গণ্য হয়। গাঁজা বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট দোকানও রয়েছে সে দেশে। আর সে সব দোকান দেখেই বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন ভারতীয় ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তাইল্যান্ডে একটি গাঁজার দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক প্রৌঢ় এবং তাঁর পুত্র। হতবাক হয়ে গাঁজার ওই দোকান দেখছেন তিনি। এর পর পুত্রের দিকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘‘এটা কি গাঁজার দোকান? হ্যাঁ! জীবনে প্রথম বারের মতো দেখছি।” তাঁকে আরও প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘‘এখানে কি গাঁজা বৈধ?” তাঁর ছেলে উত্তর দেয়, “হ্যাঁ, এখানে এটা স্বাভাবিক।’’ এর পর স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করেও দোকানটি দেখান প্রৌঢ়। তখনই এক অদ্ভুত কথা বলেন প্রৌঢ়ের স্ত্রী। মহিলা বলেন, ‘‘ঠিক আছে। তুমি চাইলে গাঁজা খেতে পারো।” যদিও স্ত্রীর সেই কথা উড়িয়ে দেন প্রৌঢ়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘নেরোঙ্গাখার’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই আবার বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘কাকুর প্রতিক্রিয়া কিন্তু দেখার মতো। নিশ্চয়ই নিজেও এক সময় গাঁজা সেবন করতেন।’’