পহেলগাঁও হামলার ১৪ দিনের মাথাতেই প্রত্যাঘাত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি দিলেন পাক মন্ত্রী। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের দাবি, পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটির কোনও অস্তিত্ব নেই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তারার জানান, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কোনও জঙ্গিশিবির নেই এবং এই অঞ্চলে যাঁরা বাস করেন তাঁরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। তাঁর আরও দাবি, ভারত যে স্থানগুলিকে জঙ্গিশিবির বলে চিহ্নিত করেছে সেগুলি আসলে অসামরিক এলাকা। তাঁর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন স্কাই নিউজ়ের সঞ্চালিকা ইয়ালদা হাকিম। সেই সাক্ষাৎকারেরই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োয় পাক মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারতই সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে। পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলতেই তারার স্পষ্ট ভাবে অস্বীকার করেন যে পাকিস্তানে কোনও জঙ্গিদের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই, পাকিস্তানে কোনও সন্ত্রাসী শিবির নেই। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রথম সারির রাষ্ট্র।’’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ইয়ালদা তাঁর বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি তুলে ধরতেই খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন তারার।
ইয়ালদার যুক্তি ছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ তাঁর অনুষ্ঠানে এসে স্বীকার করেছিলেন, তিন দশক ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি দেশগুলি পাকিস্তানকে দিয়ে ‘নোংরা কাজ’ করাত। আসিফ জানান, কয়েক দশক ধরে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে অর্থসাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে মদত দিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এই যুক্তিতে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন তারার। তিনিও পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজের বক্তব্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। ইয়ালদা তখন জানান, তারার যা বলছেন সেটি পারভেজ মোশারফ, বেনজির ভুট্টো, সর্বোপরি প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাত্র এক সপ্তাহ আগে যা বলেছিলেন তার পরিপন্থী। ভারতকে আগ্রাসী হিসাবে উল্লেখ করে পাকিস্তানি মন্ত্রী বলেন যে পাকিস্তান ভারতের হামলার জবাব দেবে।