পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর পাকিস্তানের সঙ্গে বেশ কিছু কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ করেছে ভারত। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে ফেরত যেতে হবে সে দেশে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানিদের স্বল্পমেয়াদি ভিসা (১২ ধরনের) বাতিল করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের এ দেশ ছাড়ার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। সেই আবহে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো নাগরিকদের তালিকায় নাম আছে এক জওয়ানের স্ত্রীরও। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এক জওয়ানের স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর জন্য জম্মু থেকে ওয়াঘা সীমান্তে পাঠানো হয়েছে।
কাশ্মীরের ঘরোটার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান মুনির খান ও পাকিস্তানের পঞ্জাব অঞ্চলের বাসিন্দা মিনাল খান। এঁদের বিয়েটা ছিল যতটাই চমকপ্রদ, বিচ্ছেদও ততটাই করুণ। ২০২৪ সালের ২৪ মে বিয়ে করেন এই দম্পতি। ভিসা না পেয়ে তাঁরা একটি অনন্য পদ্ধতি বেছে নেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আলাদা দেশে থেকেও বিয়ে সম্পন্ন করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে মুনিরের স্ত্রী হওয়ার পর ১৫ দিনের ভিসা পান মিনাল। এর পর তিনি স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন।
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে। পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। বহু মানুষই এ দেশ ছেড়েছেন ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে। দেশ ছাড়ার নির্দেশ পেয়েছেন পাকিস্তানের বাসিন্দা মিনাল খানও। সরকারের এই সিদ্ধান্তে কার্যত ভেঙে পড়েছেন মিনাল। জম্মু যাওয়ার পথে এই দম্পতির একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিবেকমিশ্র নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। মিনাল সংবাদমাধ্যমে জানান, এই বর্বর হত্যার নিন্দা করেন তিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু এতে তাঁদের মতো সাধারণ মানুষের দোষ নেই। ন’বছর পর স্বল্পমেয়াদি ভিসা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। হঠাৎ করে সব বাতিল করে দেওয়া হয় এবং বলা হল ফিরে যেতে হবে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে দেওয়া উচিত। জম্মু থেকে ওয়াঘা যাওয়ার সময় সরকারের উদ্দেশে আবেদন করেছেন তিনি।