—প্রতীকী চিত্র।
বাঙালির হরবখতের জলখাবার। সকাল হোক বা সন্ধে, মুড়ি হোক বা স্রেফ শালপাতার বাটিতে দেওয়া তেঁতুলের চাটনি, শীতে হোক বা গ্রীষ্মে, ফুলকপির পুর হোক বা আলু-বাদাম— সবেতেই লা জবাব। এ হেন জলখাবারের নাম বলে দিতে হয় না নিশ্চয়ই। তবে প্রদেশবিশেষে এর রূপ বদলায়, বদলায় স্বাদ এমনকি, নামও। তবু ভারতীয় হালুইকরেদের হাতে বানানো শিঙাড়া জনপ্রিয়তা থাকে এক রকম। সম্প্রতি রাজস্থানের একটি দেকানে এমনই সিঙাড়া বানানোর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
কিন্তু কেন? পাড়ার মোড়ে দু’পা এগোলেই যেখানে শিঙাড়ার দোকান আর শিঙাড়া বানানোর প্রক্রিয়া সামনে থেকে দেখা যায়, হঠাৎ সেই একই দৃশ্য নেটাগরিকেরা ভিডিয়োয় দেখছেন কেন? নেহাৎই মোবাইল থেকে চোখ নামানোর সময় নেই বলে? নাহ্। ব্যাপারটা আসলে অন্য। পাড়ার দোকানে শিঙাড়া বানান হালুইকর। কিন্তু ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, শিঙাড়ার পুর থেকে ময়দার খোলা— সবই বানাচ্ছে যন্ত্র!
কী ভাবে? আলু ধোয়া থেকে শুরু করে আলু ভাপিয়ে নেওয়া সবই দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োতে। যন্ত্রে আলু চটকে, তাতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে মশলা এবং নানা ধরনের মিশ্রণ। শিঙাড়ার পুরে মেশানো হচ্ছে কাজু-কিশমিশও। সেই সময় অন্য আরও একটি মেশিনে তৈরি হচ্ছে শিঙাড়ার খোল। ময়দা মেখে বেলে গোল গোল চাকতি হয়ে বেরিয়ে আসছে। বাকি কাজটা অবশ্য করতে হচ্ছে দোকানের কর্মীকেই। খোলে পুর ভরে ভেজে নিচ্ছেন তাঁরা। আর এভাবেই তৈরি হচ্ছে ‘শাহি সামোসা’।
রাজস্থানের যোধপুরের এক দোকানে এই শিঙাড়ার বিপুল চাহিদা। নাহক দিনে দশহাজার পিস শিঙাড়া বিক্রি করে দোকানটি। সেই চাহিদার সঙ্গে তাল রাখতেই যন্ত্রের ব্যবহার, জানিয়েছেন দোকানের মালিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy