মত্ত অবস্থায় যুবকের কোলে বসে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক রুশ যুবতী। ওই অবস্থায় একটি স্কুটারকে ধাক্কা মেরে বসে গাড়িটি। স্কুটারের আরোহী তিন যুবক গুরুতর আহত হন। ধাক্কা মেরেই ক্ষান্ত হননি ওই গাড়িতে থাকা তরুণী ও চালক। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হট্টগোল শুরু করে দেন রুশ তরুণী। কালো জমকালো পোশাক পরা তরুণীকে সামলাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এক্স সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় তাঁকে দর্শকদের সামনে কাঁদতে এবং চিৎকার করতে দেখা যায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। বুধবার রাতে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে ঘটনাটি ঘটে বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, এক রুশ মহিলা এক যুবকের কোলে বসে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে মত্ত রুশ মহিলা চালকের কোলে বসে ছিলেন। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাতের দিকে পাব থেকে মদ্যপান করে যুবক ও তরুণী গাড়িতে ফিরছিলেন। তরুণী কোলে বসে থাকায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল না যুবকের । সে কারণেই প্রচণ্ড গতিতে এসে স্কুটারটিকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাটির পর এলাকায় বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। রুশ মহিলা স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। হট্টগোল শুরু করে দেন এবং পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছেন ওই রুশ মহিলা। তাঁকে ও চালককে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে ‘ভারত সরকার’ কথাটি লেখা ছিল। সংবাদমাধ্যমের দাবি, গাড়ির মালিক সরকারি আইনজীবী।