Advertisement
E-Paper

দক্ষিণের রাজ্যে হ্রদের জলে হাজার হাজার মৃত মাছ! মড়ক না ভয়ঙ্কর কোনও কারণ?

কর্নাটক রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে বিপুল মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৫২
Thousands of dead fish were found floating at lake in Bengaluru

ছবি : সংগৃহীত।

বেঙ্গালুরুর চিককানাগামঙ্গলা হ্রদে ভেসে উঠল হাজার হাজার মরা মাছ। দূষণের কারণেই এই বিপুল পরিমাণ মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বেঙ্গালুরু পুরসভার একটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট থেকে নির্গত দূষিত জল এসে মিশেছে এই হ্রদটিতে। জলের রাসায়নিক মিশে তা এতটাই দূষিত হয়ে পড়েছে যার ফলে সমস্ত মাছ এই ভাবে মারা গিয়েছে। তবে এই ভাবে হ্রদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা প্রথম নয়।

গত দু’বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমে জানান, যেখান থেকে দূষিত জল বেরোনোর অভিযোগ উঠেছে সেটি দু’বছর আগে চালু হলেও মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সেটি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় অধিবাসীদের। কর্নাটক রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে বিপুল মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বায়োকন সংস্থার কর্ণধার কিরণ মজুমদার।

এক্স সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, যে সব হ্রদগুলিকে পরিষ্কার করে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছিল সেই প্রচেষ্টা নষ্ট করে দিয়েছে সরকারি সংস্থাগুলির দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। নর্দমাগুলি বন্ধ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও পয়ঃনিষ্কাশন এবং বিষাক্ত পদার্থ হ্রদে মিশে জল বিষাক্ত করে তুলছে। বেঙ্গালুরু পুরসভার এক কর্তা জানিয়েছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টে পঞ্চাশ হাজার লিটার ক্ষমতার একটি ‘লিচেট ট্রিটমেন্ট’-এর সুবিধা রয়েছে। এই ট্রিটমেন্টে প্ল্যান্ট থেকে যা জল বেরোয় তা বাগানে ব্যবহার করা হয়, এবং হ্রদে এক ফোঁটা জল ফেলা হয় না বলে দাবি করেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

Bengaluru lake Pollution Waste water
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy