বিয়ের পিঁড়িতে বসে রয়েছেন তরুণী। কিছু ক্ষণ পরেই সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেবেন তাঁর জীবনসঙ্গী। সিঁদুরদান যেন নিয়ম মেনে হয় তা লক্ষ রাখতে তরুণীকে ঘিরে রয়েছেন তাঁর অভিভাবকেরা। লজ্জাবস্ত্র নিয়ে তরুণীর পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন এক মহিলা। অন্য দিকে, পাত্রের হাত ধরে দাঁড়িয়েছিলেন এক বৃদ্ধ। তিনি পাত্রীর দাদু। কিন্তু অভিভাবকত্ব ফলাতে গিয়ে নাতনির সিঁথিতে তিনিই সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছিলেন।
খেয়াল করতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে সকলের সামনে দাদুকে বকা দিলেন পাত্রী। রেগেমেগে দাদুর হাত ঠেলে সরিয়েও দিলেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। এই ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ঘটেছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
‘দিল_কি__বাতে’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, বিয়ের পিঁড়িতে বসে রয়েছেন পাত্র-পাত্রী। তরুণীর সিঁথিতে সিঁদুর পরাবেন বলে হাত বাড়িয়ে রয়েছেন তাঁর জীবনসঙ্গী। তরুণীর পিছনে লজ্জাবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। সিঁদুর পরানো হলেই লজ্জাবস্ত্র দিয়ে নববধূর মুখ ঢাকবেন তিনি। কিন্তু সেখানে অভিভাবকত্ব ফলাতে হাজির হলেন তরুণীর দাদু।
সিঁদুর যেন সিঁথির বাইরে না পড়ে তা নজর রাখতে পাত্রের হাত ধরেছিলেন দাদু। বৃদ্ধের এই আচরণে রেগে গেলেন বাঙালি তরুণী। দাদুর হাত ঠেলে সরিয়ে দিলেন তিনি। বিয়ের পিঁড়িতে বসে সকলের সামনে দাদুকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন তরুণী। তরুণী বললেন, ‘‘তুমি দিচ্ছ কী করতে? ও দেবে। তুমি ধরিয়ে দাও ওকে।’’ সকলের সামনে বকা খেয়ে অপ্রস্তুত হয়ে যান বৃদ্ধ। বলতে থাকেন, ‘‘আমি তো ধরিয়েই দিচ্ছি।’’ এর পর সেখান থেকে সরে যান তিনি। পরে তরুণী ইশারা করে পাত্রকেই বলেন ঠিকমতো সিঁদুর পরাতে।