রাগে ফুঁসছে নেপাল। ছাত্র-যুব বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। হাজার হাজার ছাত্র-যুবকের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে রাজপথে। জনরোষের হাত রেহাই মেলেনি নেতামন্ত্রীদের। সমাজমাধ্যম তেমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে উত্তেজিত জনতা তাড়া করেছেন নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাঁকে খালের জলে ফেলে দিতেও দেখা গিয়েছে। জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে আরও একাধিক নেতাকে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি খালের ধারে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। এক দল উন্মত্ত জনতা তাড়া করেছেন অর্থমন্ত্রীকে। গণপ্রহার থেকে বাঁচার জন্য পালাচ্ছেন তিনি। তাঁকে জলে ঠেলে ফেলে দিতেও দেখা গিয়েছে। এর পর মাথায় হেলমেট, হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় তাঁকে হাঁটু জল পেরিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তাঁর পিছু নেন তিন-চার জন নেপালি তরুণ। জল পেরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিষ্ণুকে লক্ষ্য করে লাঠি ছুড়ে মারে জনতা। হেলমেট থাকায় মাথায় আঘাত লাগেনি তাঁর। এক তরুণ জলে নেমে মন্ত্রীকে ঠেলে দিয়ে তাঁকে চড় মারতে শুরু করেন।
অন্য একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধ জনতা একাধিক নেতাকে তাড়া করে জলে ঠেলে ফেলে দিচ্ছেন। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন সেখানে। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই লাঠি। লাঠির আঘাত থেকে বাঁচার জন্য একাধিক নেতাকে জলে ঝাঁপ দিতেও দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি ‘রেডিয়োজেনা’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিয়োটি ১১ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। প্রচুর প্রতিক্রিয়া জমা পড়েছে তাতে।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে কাঠমান্ডু-সহ একাধিক জায়গায়। বিক্ষুব্ধ জনতা বহু সরকারি ভবন, নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভাঙচুর করা হয় সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং পার্লামেন্ট ভবনে। পরে পার্লামেন্ট ভবনে, ওলি এবং তাঁর মন্ত্রীদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।